এই মুহূর্তে




সরকারি আধিকারিকদের সশরীরে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দেওয়া আর বাধ্যতামূলক নয়, রায় হাইকোর্টের

Courtesy - Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: বিচারব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রতা কি জিনিস তা ভুক্তভোগী মাত্রই হাড়ে হাড়ে জানেন। তাই বাধ্য না হলে কেউ আদালতের কড়া নাড়েন না। এই পরিস্থিতি বদলাতে এবার যুগান্তকারী রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট(Calcutta High Court)। ফৌজদারি হোক বা দেওয়ানি—যেকোনও মামলায় এতদিন সব স্তরের সংশ্লিষ্ট সরকারি আধিকারিককে(Government Officials) সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দেওয়া বাধ্যতামূলক ছিল। একটি মামলার রায়ে কলকাতা হাইকোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিল, এবার থেকে আর কোনও সরকারি আধিকারিকদের সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দেওয়া আর বাধ্যতামূলক নয়(No Longer Mandatory for Physical Presence)। রাজ্যের সব আদালতে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে সাক্ষ্য দিতে পারবেন আমলা থেকে পুলিশ, চিকিৎসক, ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ থেকে সব স্তরের সরকারি আধিকারিক। সেই মতো সব আদালতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এই রায়ের ফলে বিচার ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আসবে এবং মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি সম্ভব হবে বলে মনে করছেন আইনজীবীরা।

আরও পড়ুন হাসিনা দেশ ছেড়েছেন, কিন্তু বাংলাদেশকে গড়ে দিয়ে গিয়েছেন

সম্প্রতি রাজ্যের সংশোধনাগারগুলির সামগ্রিক পরিস্থিতি সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চে। সেই মামলায় রাজ্যের তরফে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর রুদ্রদীপ্ত নন্দী দাবি করেন, নিম্ন আদালতগুলিতে সরকারি আধিকারিকদের সশরীরে হাজিরা দিয়ে সাক্ষ্য প্রদানের নিয়ম থাকায় বিচারপ্রক্রিয়ায় বিলম্ব ঘটছে। তাই প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে সাক্ষ্যগ্রহণ প্রক্রিয়া চালু প্রয়োজন। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে নির্দেশনামায় ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, অবিলম্বে রাজ্যের সমস্ত নিম্ন আদালতের বিচারককে Rules for Video Conferencing for Courts ও বিএনএসস-এর ২৫৪(২) ধারা কার্যকর করে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে সাক্ষ্য গ্রহণের প্রক্রিয়া চালু করতে হবে।  

আরও পড়ুন সহবাসে বিদ্ধ সুশান্ত, নির্যাতিতা সিপিআই(এম)’রই সদস্য, চান মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ

সম্প্রতি রাজ্যের আইন দফতরের তরফে বিধানসভায়(West Bengal State Assembly) পেশ করা তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত রাজ্যের সব আদালতে দায়ের হওয়া মামলার সংখ্যা ছিল ২৯,৭৩,৬০৭। এর মধ্যে মাত্র ৪,৯৮,৪৪৩টি মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। এবার কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে অনেক মামলাই দেউত নিষ্পত্তি হবে, বিশেষ করে ফৌজদারি মামলাগুলি। অনেক সময় দেখা যায়, রাজ্যের কোনও জেলা আদালতে চলা মামলায় যে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ কাজ করেছিলেন, এখন তিনি দিল্লিতে। সেই মামলায় সাক্ষ্যদানের জন্য তাঁকে দিল্লি থেকে সংশ্লিষ্ট জেলা আদালতে ছুটে আসতে হতো। কোনও কারণে না আসতে পারলে মামলা পিছিয়ে যেত। এই ধরনের সমস্যা আর থাকবে না। এই নির্দেশের ফলে সরকারি আধিকারকিরাও সময় মতো সাক্ষ্যদানে বাধ্য থাকবেন। উপকৃত হবেন মামলাকারীরা।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘কুলতলির ঘটনাতে তিন মাসের মধ্যে ফাঁসির অর্ডার হোক, সেটাই চাই’, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

পার্ক স্ট্রিট থানায় মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ারকে শ্লীলতাহানি

সরলেন বাবুন, এলেন সুজিত, পুজোর আবহেই বদল Hockey Bengal-এ

‘কর্মবিরতি করলেন আবার ৩২ হাজার টাকা স্টাইপেন্ডও নিলেন’, ডাক্তারদের নিশানা কল্যাণের

অসুর হয়ে হাজির বৃষ্টি, হকার- ব্যবসায়ীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ

কোল্ড ড্রিঙ্কস অমলেট! পুজোর কলকাতা মাতাচ্ছে নতুন স্ট্রীট ফুড

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর