নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ফের শিরোনামে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। তবে এবার অধ্যাপকের রহস্য মৃত্যুকাণ্ড নিয়ে শিরোনামে উঠে এল বিশ্ববিদ্যালয়। আচমকাই আত্মহত্যা করলেন মুর্শিদাবাদের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে উঠে আসা এক অধ্যাপক । জানা গিয়েছে, তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন।
ওই অধ্যাপকের নাম সুমন নিহার । তিনি মুর্শিদাবাদের লালগোলার বালিপাড়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। গত রবিবার কলকাতা থেকে তিনি বাড়িতে ফেরেন। মঙ্গলবার ট্রেন ধরে তাঁর কলকাতায় আসার কথা। কিন্তু আচমকাই অধাপকের ঘরে গিয়ে তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে হতবাক হয়ে যান সকলে। তবে তৎক্ষণাৎ সুমনকে হাসপাতালে পাঠান হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
জানা গিয়েছে, সুমন ছিলেন একজন মেধাবী অধ্যাপক। জীবনের কঠোর পরিশ্রম করে তিনি সাফল্যের শিখরে উঠেছিলেন। তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে শোকাহত সুমনের সঙ্গে কর্মরত অধ্যাপকেরা। কি কারণে এই আত্মহত্যা তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। এই পুরো ঘটনাটি নিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত। পাশাপাশি তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠান হয়েছে।
উল্লেখ্য, এই ঘটনা প্রথম নয়। এরআগে গত ২০২২ সালে আচমকাই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও তৎকালীন সহ-উপাচার্য সামন্ত্যক দাসের দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়। জানা গিয়েছিল, তিনি দীর্ঘদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন আর তা থেকেই মুক্তি পেতে আত্মহত্যা করেন সামন্ত্যক দাস।