নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলায় আসা ইস্তক তৃণমূল তো বটেই বাম ও কংগ্রেসের নেতারাও তাঁকে ‘পদ্মপাল’ বলে দাগতে শুরু করেছিলেন। আর দাগবেন নাই বা কেন! হরবখত তিনি রাজভবনে বসে শুধুমাত্র পদ্ম শিবিরের সুবিধার্থেই কাজ করে চলেছেন। যাবতীয় রীতিনীতি, প্রথা, সাংবিধানিক দায়বদ্ধতা, নিয়মকানুন লঙ্ঘণ করে তিনি যা নয় খুশি তাই করে চলেছেন। থেকে থেকেই আক্রমণ শানছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, মন্ত্রী, আমলা, পুলিশ মায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে। তাঁর টুইট কীর্তি ও রাজ্য সরকারের সঙ্গে যুদ্ধের জেরে কার্যত রাজ্যজুড়েই চলে তীব্র সমালোচনা। কখনও কখনও সেই সমালোচনা জাতীয় স্তরের রাজনীতিতেও প্রভাব ফেলে যায়। তবুও বিন্দুমাত্র বদল ঘটাননি তিনি নিজেকে। তবে রবিবার তাঁকে একদম অন্য মেজাজেই পাওয়া গেল। অনেকটাই মানবিক ভূমিকায় তাঁকে দেখা গেল। তিনি জগদীপ ধনখড়(Jagdeep Dhankar)। আর তা দেখে অনেকেই মন্তব্য করছেন এতদিনে ‘পদ্মপাল’ থেকে ‘রাজ্যপাল’ হলেন ধনখড়বাবু।
রবিবার সকালে ধনখড় সস্ত্রীক পৌঁছে যান বারাসতের(Barasat) হৃদয়পুরে কলকাতা পুলিশের(Kolkata Police) সদ্য প্রয়াত ইন্সপেক্টর অগ্নি মিত্রের(Agni Mitra) বাড়িতে। ব্রেন টিউমারে দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর গত ৮ জুন প্রয়াত হন এই পুলিশ আধিকারিক। সেই আধিকারিকের পরিবারের হাতেই এদিন ১১ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন রাজ্যপাল। কথা বলেন প্রয়াত পুলিশ আধিকারিকের স্ত্রী ও কন্যার সঙ্গে। সবরকমভাবে তাঁদের সঙ্গে থাকার আশ্বাসও দেন। রাজ্যপালকে কাছে পেয়ে আপ্লুত অগ্নি মিত্রের পরিবারও। কয়েকমাস আগে অগ্নিবাবুর ব্রেন টিউমার ধরা পড়ে। চিকিৎসা শুরু হলেও অবশ্য শেষরক্ষা হয়নি। ৮ জুন মৃত্যু হয় তাঁর। পরিবারের একমাত্র উপার্জন সক্ষম মানুষটি চলে যাওয়ায় অথৈ জলে পড়ে পরিবারটি। এদিন সেই পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন রাজ্যপাল। তারপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, ‘অগ্নি মিত্রের মৃত্যু সংবাদ খুবই দুঃখের। উনি বরাবরই একজন কর্মদক্ষ অফিসার ছিলেন। ওনার আত্মার শান্তি কামনা করি। ওনার পরিবারের পাশে থাকার চেষ্টা করব।’