নিজস্ব প্রতিনিধি: সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত ভোটে বিক্ষিপ্ত অশান্তি নিয়ে রাজ্য সরকার আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে নিশানা করেছিলেন তথাকথিত বিদ্ধজন অপর্ণা সেন, কৌশিক সেনরা। এক ধাপ এগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে দুর্নীতিগ্রস্ত দল হিসেবে আখ্যা দিয়েছিলেন ইদানি গেরুয়া শিবিরমুখী অভিনেত্রী অপর্ণা সেন। বুধবার প্রে্স ক্লাবে পাল্টা সাংবাদিক সম্মেলন করে ‘রাম ও বামসেবক’ বুদ্ধিজীবীদের উদ্দেশে কবীর সুমন, যোগেন চৌধুরীরা প্রশ্ন ছুড়েছেন, ‘গ্রাম বাংলার ভোটে কবে অশান্তি হয়নি?’
সম্প্রতি পঞ্চায়েত ভোটে অশান্তি নিয়ে ভারত সভা হলে জড়ো হয়েছিলেন কট্টর তৃণমূল বিরোধী এবং সিপিএম-বিজেপির ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত বুদ্ধিজীবীরা। একই মঞ্চে ‘রাম’ ও ‘বাম’ বিদ্ধজনদের দেখে অনেকেই চমকে গিয়েছিলেন। ওই সভা শেষেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বেনজির ভাষায় আক্রমণ করেন অপর্ণা সেন। এদিন প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেন কবীর সুমন, যোগেন চৌধুরী, আবুল বাশার, পূর্ণেন্দু বসু, হরনাথ চক্রবর্তীরা। প্রাক্তন সাংসদ কবীর সুমন নাম না করে ‘গেরুয়া ঘনিষ্ঠ’ অপর্ণা সেনের উদ্দেশে বলেন, ‘যাঁরা বলছেন, এই পরিবর্তন চাইনি, তাঁদের কাছে আমার প্রশ্ন, ঠিক কোন পরিবর্তন চেয়েছিলেন আপনারা? বাংলার ভোটে অশান্তি নতুন নয়। জন্ম থেকে দেখে আসছি, পঞ্চায়েতে নল দিয়ে ভোট করানো হয়। আগেও তেমন ঘটনা ঘটত, এখনও ঘটছে সাদা থানের কথা ভুলি কী করে? মনে রাখতে হবে ভোট হয়ে যায় না। ভোট করাতে হয়। গত এক যুগ ধরে রাজ্যের উন্নয়নে যে ভূমিকা নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সবাই তার প্রশংসা করছেন। অথচ কেউ-কেউ তাঁকে অযোগ্যের তকমা সেঁটে দেওয়ার জন্য আসরে নেমেছেন। আসলে এখন রাজ্যে মমতা আর অ-মমতা মেরুকরণ হয়েছে। আমি চা্-ইউ তিন হাজার বছর ক্ষমতায় থাকুন মমতা।’
সাহিত্যিক আবুল বাশার বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পিছিয়ে পড়া মানুষকে সুরক্ষা দিয়েছেন। পরম মমতায় তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। নিম্ন শ্রেণিকে নিরাপদে রেখেছেন। তাই যারা আজ মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করছেন, তাদের বলছি, মমতা যে কর্মযজ্ঞে নেমেছেন, তাতে বিঘ্ন ঘটাবেন না। দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসা দরিদ্রতম মুখ্যমন্ত্রীকে কাজ করতে দিন।’