নিজস্ব প্রতিনিধি: চেতলার বাড়ি থেকে বার হবার সময় সাংবাদিকের মুখোমুখি হলেন কলকাতা পৌরসভা মেয়র ফিরহাদ হাকিম(Mayor Firhad Hakim)। বেহালা, টালিগঞ্জ, যাদবপুর এসব এলাকায় জলের অভাব নিয়ে কলকাতা পৌরসভার মেয়র বলেন, আবাসন গুলোকে পারমিশন দেওয়া হয়েছে ।যাতে ওরা নিজেদের জলের উৎস নিজেরাই তৈরি করে। আমরা বেশিরভাগ জায়গায় কাজ করেছি। বেহালার কিছু জায়গায় কেআইপি’ র কাজ চলছে। আশা করা যাচ্ছে ,এই বছর জলের সোর্স চলে আসবে। যাদবপুর এবং টালিগঞ্জ আমরা কিছু কিছু জায়গায় গার্ডেনরিচ এর জল নিয়ে আসছি।এছাড়া গড়িয়াতে(Garia) একটা ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের কাজ শুরু হচ্ছে।এছাড়া জয় হিন্দ প্রকল্পের ওখানে কুড়ি মিলিয়ন জলের প্রকল্প চালু হচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে এটা দিয়ে আমরা ইস্টার্ন বাইপাস (E M By Pass)এবং যাদবপুর ও টালিগঞ্জের জলের অভাব কমিয়ে ফেলবো।
কালিয়াগঞ্জ ও দিলীপ ঘোষের বক্তব্য রাজ্যপালের রিপোর্ট এগুলো নিয়ে কিছুই বলতে চাননি মেয়র ফিরহাদ হাকিম। কলকাতাতে ওয়াটার মেট্রো নিয়ে বলেন ওয়াটার প্রজেক্ট সব সময় পোর্ট ট্রাস্টের কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রজেক্ট ।যেমন বন্দে ভারতে মুখ্যমন্ত্রী নিজে গেছিলেন। আমরা সব সময় ডেভেলপমেন্ট এর পক্ষে আছি কিন্তু রাজনৈতিক ভাবে যেভাবে development বন্ধ করে দিয়েছে তার বিরুদ্ধে আমরা । এখন কি ঠিকাদারদের দালালি বিজেপি করবে? ঠিকাদারদের পেমেন্ট বন্ধ। ঠিকাদাররা বলবে, সেটা বিজেপি কেন বলছে।আবার টাকা বাড়ালেও ওরা বিরুদ্ধে বলবে। টাকাটা কি আকাশ থেকে আসবে।২০১৪ থেকে পার্কিং এর টেন্ডার হয়নি ।সেটা আমি বলেছি ।টিভি দেখে বিজেপি আন্দোলন করে।
কর্পোরেশনে চাকরি নিয়ে বলেন বেকার কথাবার্তা বলছে ।কে চাকরি পেয়েছে কে চাকরি পায়নি তার দায় আমার নয়। গুজরাটের NIT এ খুব ভালো ফল করেছে তার মানে কি নরেন্দ্র মোদী আছে বলে গুজরাট ভারত সেরা হল। এসব কথার কোন মানে নেই। গঙ্গার নিচে মেট্রোতে আমি নিজে গেছিলাম। আমি ট্রলিতে করে গেছিলাম আশা করি পর্যটনের নতুন দিগন্ত আনবে। হাওড়া- সল্টলেক কলকাতা যানবাহনে খুব সুবিধা হবে ।আইটি সেক্টরেও কাজ অনেকে বাড়বে বলে বলেন ফিরহাদ।