নিজস্ব প্রতিনিধি: সরকারি হাসপাতালে ক্যান্সারের অভূতপূর্ব চিকিৎসা। মাত্র দুটাকা দিয়ে টিকিট কেটে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) বাসিন্দা ফেহরান আলি। অবশেষে চিকিৎসকদের চেষ্টায় আড়াই মাসে ওই যুবক সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন। নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট ইউনিটের (Bone Marrow Transplant Unit) এই সাফল্যে খুশি চিকিৎসক এবং ক্যানসার বিশেষজ্ঞরা।
আড়াই মাস আগে রক্তের ক্যান্সার নিয়ে নীলরতন সরকার হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) যুবক ফেহরান আলি। প্রথমে আউটডোরে ২ টাকার টিকিট কেটে হেমাটোলজি বিভাগে চিকিৎসককে দেখান তিনি। এরপর রোগের গুরুত্ব বুঝে তাঁকে ভর্তি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। এরপর ওই যুবককে বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট করে ক্যানসার (Cancer) থেকে মুক্তি দেওয়া সম্ভব হয়েছে। চিকিৎসক অধ্যাপক তুফানকান্তি দলুই এই বিষয়টি নিয়ে জানান, রোগীর ভাইয়ের শরীর থেকে বোন ম্যারো (অস্থিমজ্জা) সংগ্রহ করে তা প্রতিস্থাপন করা হয় রোগীর শরীরে। তবে প্রতিস্থাপনের আগে গ্রুপ ম্যাচ করে দেখে নিতে হয়েছে। তিনি আরঅ জানান, এই প্রক্রিয়া এতদিন অধরা ছিল কলকাতায়। এবার থেকে ক্যানসার বা রক্তরোগে আক্রান্তদের আর মৃত্যুভয় থাকবে না।
প্রসঙ্গত ড্রাগ কন্ট্রোল জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার তরফে বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট করে ক্যানসার (Cancer), হিমোফিলিয়া (Himofiliya), থ্যালাসেমিয়ার (Thalassemia) মতো মারণরোগের চিকিৎসা করার অনুমোদন পেয়েছে এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হেমাটোলজি বিভাগ। কলকাতার এই নামী হাসপাতালে তৈরি করা হয়েছে ‘এথিক্স কমিটি’ও। হেমাটোলজি বিভাগের প্রধান হিসাবে কাজ শুরু করেছেন অধ্যাপক ডা. তুফানকান্তি দলুই। বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট পদ্ধতিতে ঝাড়খণ্ডের ওই যুবকের রক্তের ক্যানসার সারিয়ে তোলার পর উচ্ছ্বসিত চিকিৎসকরা। তিনি আর পাঁচজনের মতো স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন তুফানবাবু। ওই রোগীকে সুস্থ করে তুলতে চিকিৎসা পর্বের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক রাজীব দে, শুভ্রনীল বাউল, প্রকাশ মণ্ডল ও সন্দীপ সাহা।