এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

মঙ্গল দুপুরেই ৪০ পার কলকাতার, নেপথ্যে জলবায়ুর পরিবর্তন

নিজস্ব প্রতিনিধি: বিশ্বউষ্ণায়নের জেরে গোটা বিশ্বজুড়েই বদলাচ্ছে জলবায়ু। সেই পরিবর্তনের আঁচ এতদিন বাংলায় দেখা যাচ্ছিল বর্ষা আর শীতকালে। ধারাবাহিক বৃষ্টির বদলে বাংলায় অল্প সময়ে বেশি বৃষ্টিপাত ঘটতে যেমন দেখা যাচ্ছিল তেমনি শীতেও ঠাণ্ডা বেশি পাওয়া যাচ্ছিল না। শৈত্যপ্রবাহ(Cold Wave) তো দূরের কথা মাঝেমধ্যে চালাতে হচ্ছিল ঘরের পাখাও। সেই সঙ্গে ছিল ঘন ঘন বৃষ্টি। এসবই এতদিন সহনীয় ছিল। কিন্তু চলতি সপ্তাহ থেকে যে তাপপ্রবাহের(Heat Wave) কবলে পড়েছে বাংলা তা আর সহ্য করতে পারছেন না আমজনতা। ইতিমধ্যেই রাজ্যে সানট্রোকে ২জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এই অবস্থায় আবহাওয়াবিদদের একাংশ জানিয়ে দিলেন বাংলায় এই অসহনীয় তাপপ্রবাহের নেপথ্যে রয়েছে জলবায়ুর পরিবর্তনের ঘটনা, যা খালি চোখে এতদিন প্রকট ভাবে বোঝা যাচ্ছিল না। সেই জলবায়ুর পরিবর্তনের জেরেই মার্চ-এপ্রিল মাস বৃষ্টি ছাড়াই কাটাতে হয়েছে কলকাতাকে(Kolkata)। শুধু তাই নয়, মঙ্গলবার দুপুরেই খাস কলকাতায় পারা পার হ্যে গেল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘর। রেকর্ড হল ৪০.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা।

বিগত ৩০ বছরের আবহাওয়ার গড় পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, সাধারণত এপ্রিল মাসে কলকাতায় ৫৮.৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়ে থাকে। এবার এক ফোঁটাও বৃষ্টি হয়নি কিবা মার্চ, কিবা এপ্রিলে। তাছাড়া মার্চ ও এপ্রিল মাস মিলিয়ে কলকাতায় গোটা ৫ কালবৈশাখী ঝড়েরও দেখা মিলত। এবার সেই কালবৈশাখীরও কোনও চিহ্ন নেই। উল্টে বাংলার একটা বড় এলাকা পড়েছে তাপপ্রবাহের কবলে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলা ছাড়া দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাই পড়েছে এই তাপপ্রবাহের কবলে। ডুয়ার্স আর পাহাড় বাদে উত্তরবঙ্গের বাকি জেলাগুলিরও অবস্থা শোচনীয়। তাপপ্রবাহের কবলে পড়েছে মালদা ও দুই দিনাজপুর জেলা। মঙ্গলবার দুপুরে রাজ্যের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে বাঁকুড়া শহরে, ৪৪ডিগ্রি সেলসিয়াস। তারপরেই রয়েছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল। সেখানে পারা উঠেছে ৪৩.১ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এরপরেই রয়েছে পুরুলিয়া। সেখানে পারা উঠেছে ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এরপরেই রয়েছে চুঁচুড়া ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বর্ধমান টাউন ও ঝাড়গ্রাম টাউন ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শ্রীনিকেতন ও হাওড়া ৪১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, মেদিনীপুর টাউন ৪১.৫ডিগ্রি এবং বারাসত ৪১.২ডিগ্রিন সেলসিয়াস।

আলিপুর আবহাওয়া দফতর মঙ্গলবার সকালেই জানিয়েছে, আগামী চার-পাঁচ দিন দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। উত্তর-পশ্চিম ভারত থেকে আসা শুষ্ক গরম হাওয়ার জন্যই এই তাপপ্রবাহের সৃষ্টি হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই তাপপ্রবাহ চলবে। তবে পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে বঙ্গোপসাগরের(Bay of Bengal) বুকে ঘূর্ণাবর্তের অবস্থানে পরিবর্তন ঘটলা। সাধারণত এই সময়ে বঙ্গোপসাগরে উচ্চচাপ বলয় সক্রিয় থাকে যা জলো বাষ্পপূর্ণ বায়ুকে ঠেলে দক্ষিণবঙ্গের পরিমণ্ডলে ঢুকিয়ে দেয়। এই হাওয়াই কালবৈশাখী ঝড়ের পাশাপাশি বৃষ্টিপাত ঘটায়। কিন্তু জলবায়ুর পরিবর্তনের দরুন এবার বঙ্গোপসাগরের বুকে সেই উচ্চচাপ বলয়ের দেখাই মিলছে না। পরিবর্তে তৈরি হয়েছে বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত(Opposite Circulation)। যার হাত ধরে জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু সরাসরি বাংলায় ঢুকছে না। বরঞ্চ তা ওড়িশা, ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ড হয়ে বাংলায় ঢুকছে। ফলে সেই হাওয়া যখন বাংলায় পা রাখছে তখন আর তা বৃষ্টিপাত ঘটাতে পারছে না। জন্ম দিতে পারছে না শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড় সৃষ্টিকারী উলম্ব মেঘের।

আলিপুর আবহাওয়া দফতরের দাবি, এখন বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ পশ্চিম দিকে বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে। ২৯ এপ্রিলের পর এই বিপরীত ঘূর্ণাবর্তের অবস্থান পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে আগামী ২ মে নাগাদ কলকাতায় বৃষ্টির অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। তার আগে বৃষ্টির আর কোনও সম্ভাবনা নেই দক্ষিণবঙ্গে। গোটা বিশ্বে যে জলবায়ুগত পরিবর্তন হচ্ছে, তার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবের জেরে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়ে থাকতে পারে। শুষ্ক এপ্রিল এই জলবায়ু পরিবর্তনের ইঙ্গিত মাত্র। এর আগেও দীর্ঘমেয়াদি শীতকালের সাক্ষী থেকেছে বাংলা। তাছাড়া ফেব্রুয়ারিতেও রেকর্ড বৃষ্টি দেখেছে রাজ্য। মার্চ মাসে দু’টি ঘূর্ণাবর্তের জন্ম দেখেছে বঙ্গোপসাগর। এই সবের মাঝে উত্তর-পশ্চিম ভারতে মার্চ মাস থেকে তাপপ্রবাহ শুরু হওয়ায় গরম বেড়েছে বাংলাতেও।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

লক্ষীর ভান্ডার নিয়ে অমিত শাহকে খোঁচা চন্দ্রিমার

দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রা ফের ঊর্ধ্বমুখী হবে ,পৌঁছে যাবে ৪০ ডিগ্রির ঘরে

মোদির বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে ফের নালিশ তৃণমূলের

একই দেহে ফুসফুস এবং হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপন করে নয়া রেকর্ড গড়ল এসএসকেএম

ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে অভিজিতের মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ওড়িশি নৃত্যশিল্পীকে ধর্ষণের অভিযোগের রিপোর্ট জমা পড়েছে নবান্নে

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর