নিজস্ব প্রতিনিধি: বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP NADDA) বঙ্গ সফরে এসে ঘুরে গেলেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের স্মৃতিধন্য ‘বন্দেমাতরম্‘ ভবন ও রাসবিহারী বসুর পৈত্রিক বাড়িতে। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির প্রথম সারির নেতারা। আর এই নিয়েই সরব হলেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (KUNAL GHOSH)। তিনি সরব হয়েছেন জাতীয় গ্রন্থাগারে বিজেপির বৈঠক বিষয়েও। কুণালের অভিযোগ, জেপি নাড্ডার সফরে রাশবিহারী বসুর অবমাননা করা হয়েছে। হেরিটেজ স্থান জাতীয় গ্রন্থাগার, এখানে রাজনৈতিক সভা করা যায় না। তবু বেনামে জায়গা বুক করে কার্যনির্বাহী বৈঠক হচ্ছে বিজেপি। এমনটাই অভিযোগ করেন কুণাল ঘোষ। সেই সঙ্গে বিজেপিকে ‘ভারত জ্বালাও পার্টি‘ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।
অভিযোগ, রাসবিহারী বসুর পৈতৃক বাড়িতে জেপি নাড্ডার সফর উপলক্ষে স্মরণীয় ব্যক্তির স্মৃতিস্তম্ভ, ছবি ঢেকে তার ওপরে দলীয় ফ্লেক্স দিয়ে রাজনৈতিক প্রচার করা হয়েছে। তাতে লেখা ‘ওয়েলকাম টু নাড্ডা জি‘। স্মরণীয় ব্যক্তিকে শ্রদ্ধা জানানোর বদলে অপমান করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি। কটাক্ষ করে বলেন, আসলে ছবি তুলতে গিয়েছিল ভারত জ্বালাও পার্টি। বাংলার ঐতিহ্য, সংস্কৃতি বোঝে না ওই দল।
এর পরেই বলেন, জাতীয় গ্রন্থাগার হেরিটেজ স্থান। জাতীয় গ্রন্থাগার এর নিয়মে বলা আছে, এখানে রাজনৈতিক সভা করা যাবে না। তবুও সভা করে বিজেপি। নিয়ম জেনেও বেনামে জাতীয় গ্রন্থাগারের প্রেক্ষাগৃহ বুক করেছে বিজেপি। এমনই অভিযোগ তোলেন কুণাল ঘোষ।এদিন কুনাল ঘোষ বলেন, আদি- নব্য- তৎকাল ও হাইজ্যাকের পার্টি বিজেপি। জনসমর্থন হারিয়েছে। এমনকি দলীয় কোন্দলেও জর্জরিত। তার পরেও এইসব জঘন্য কাজ করে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, নাড্ডার সফরসঙ্গী দিলীপ ঘোষ। দলীয় সূত্রে খবর এমনটাই। এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সফরসঙ্গী ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সম্প্রতি, দিলীপ ঘোষের কাছে এসেছে ‘মুখে তালা ঝোলানো‘র ফরমান। সূত্রের খবর, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির নির্দেশেই তাঁকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক অরুণ সিং। তবে কি এবারে দিলীপের মানভঞ্জনের চেষ্টা? দিলীপকে নিয়ে আলাদা করে বৈঠকে বসার কথা জেপি নাড্ডার। তবে সেখানে উপস্থিত থাকবেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। জাতীয় গ্রন্থাগারের সভাতেও তাঁদের দেখা গিয়েছে একসঙ্গে। বন্দেমাতরম ভবন বা রাসবিহারী বসুর পৈতৃক বাড়ি, দেখা গিয়েছে বিজেপির দুই যুযুধান প্রতিপক্ষকে। তবে কি শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা? কারণ সম্প্রতি বারবার অস্বস্তিতে পড়েছে বঙ্গ বিজেপি। তা লোকানোর আপ্রাণ চেষ্টা করতে হাল ধরতে চাইছেন নাড্ডা?