নিজস্ব প্রতিনিধি: অন্যান্য কালীবাড়ির মতোই জনপ্রিয় লেক কালীবাড়ি। লেগেই থাকে ভক্তদের ঢল। কালীপুজোয় (KALI PUJA) সেই ঢল বাড়ে আরও। দুর্গাপুজোর সময়েও হয় বিশেষ পুজোর আয়োজন। এই মন্দিরের সঙ্গেই জড়িয়ে আছে তন্ত্রসাধনার কথা।
দক্ষিণ কলকাতার রবীন্দ্র সরোবরের (ঢাকুরিয়া লেক) কাছে সাদার্ন অ্যাভিন্যুতে অবস্থিত এই মন্দির। লেক (হ্রদ)-এর কাছে এই মন্দির বলে লোকের মুখে মুখে নাম হয়েছে ‘লেক কালীবাড়ি’। মন্দিরের আসল নাম ‘শ্রী শ্রী ১০৮ করুণাময়ী কালীমাতা মন্দির’। এখানে দেবীর নাম, করুণাময়ী কালী। বিগ্রহ দক্ষিণাকালী’র।
দেবী কালিকার ভক্ত ছিলেন হরিপদ চক্রবর্তী। তিনি ছিলেন তন্ত্রসাধক। ভক্তদের বিশ্বাস, দেবী তাঁকে দর্শন দিয়েছিলেন। তিনিই প্রতিষ্ঠা করেছিলেন পঞ্চমুণ্ডি’র আসন। আজও মন্দিরে আছে সেই আসন। মন্দির চত্ত্বরে রয়েছে হরিপদ’র মূর্তিও।
জনশ্রুতি, স্বপ্নাদেশ পেয়ে এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলন তিনি। তিনি দরিদ্র ছিলেন। দেবীর কাছে তাঁর প্রার্থনা ছিল, পুজোর এই গুরুভার তিনি কী করে বহন করতে পারবেন? দেবী আশ্বাস দিয়েছিলেন, তাঁর পুজোর দায়িত্ব তিনি নিজেই নেবেন। দেবী যেখানে অধিষ্ঠিতা সেই স্থানে আগে ছিল পাতার কুটির। পরে তা মন্দির হয়। তারপর বারবার হয়েছে সংস্কার। এখানে বিগ্রহ কখনও সাজে ফুলের সাজে। আবার কখনও বা প্রতিমাকে সাজানো হয় কণকে। মন্দিরে রয়েছে দেবী বগলা, দেবী সন্তোষী, দেবী ধূমাবতী’র বিগ্রহও।
কালী মন্দির নিয়ে আরও খবর: কর্ণগড়ে অবহেলায় পড়ে রয়েছে প্রাচীন কালী মন্দির, উঠছে সংস্কারের দাবি