নিজস্ব প্রতিনিধি: টুরিস্ট- নেচার- রিলিজিয়াস ও কালচারাল স্পট হিসেবে নাম রয়েছে কর্ণগড়ের (KARNAGARH)। আগেই মন্দির পেয়েছিল ‘স্টেট প্রোটেক্টেড মনুমেন্ট’ তকমা। সম্প্রতি ‘রানি শিরোমণি গড়’- এর একটি প্রাচীন মন্দির এবং জীর্ণ মহল পেয়েছে রাজ্য সংরক্ষিত সৌধের মর্যাদা। এই দুটি সৌধের সংস্কার এবং সংরক্ষণ হবে। ‘হেরিটেজ সাইট’-এ নাম উঠে আসুক শিরোমণি গড়ের, দাবি এমনটাই। তবে তার অদূরেই জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে একটি মন্দির।
এই মন্দির, কালী (KALI) মন্দির বলেই বিশ্বাস এলাকাবাসীর। সংরক্ষিত গড় থেকে এই মন্দিরের দূরত্ব বড় জোর ১ মিনিট। আগাছা ঘেরা এই মন্দির। বর্ষায় বাড়ে সাপের উপদ্রব। এদিক-ওদিক জুড়ে নেমেছে ধস। দীর্ঘ বছর ধরে নেই কোনও বিগ্রহ। মন্দির তৈরি হয়েছে চালা রীতি ও পঙ্খের কাজে। চোখে পড়ে মাকড়া পাথর ও পোড়া ইঁট। মন্দির জুড়ে রয়েছে বড় একটি গাছের গুঁড়ি। দাবি উঠছে, এই মন্দির সংস্কার ও সংরক্ষণ করে খাতায়-কলমে হেরিটেজ মর্যাদা দেওয়ার। ভালবাসি কর্ণগড়, হেরিটেজ জার্নি এবং রানি শিরোমণি ঐক্যমঞ্চের দাবি, দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হোক। না হলে ধ্বংস হয়ে যাবে ঐতিহ্য ও ইতিহাস বহনকারী এই সৌধের। কারণ, এই ঐতিহাসিক স্থাপত্য আজও বহন করে চলেছে রানি শিরোমণি’র (RANI SHIROMANI) ইতিহাস। ‘হেরিটেজ জার্নি’ সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়, এই বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন, রাজ্য সরকারের হেরিটেজ কমিশন ও প্রত্নতাত্বিক বিভাগের চিন্তা করার প্রয়োজন রয়েছে। অন্যদিকে, এই প্রসঙ্গে লোক সংস্কৃতি ও মন্দির গবেষক চিন্ময় দাশ বলেন, এই মন্দিরে গিয়ে তিনি আগে ছবি তুলেছেন। বিষয়টি নিয়ে ভাবা দরকার।
আপাতত ইতিহাস প্রিয় মানুষদের দাবি, প্রাথমিক ভাবে স্থানীয় প্রশাসন উদ্যোগ নিয়ে আগাছা পরিষ্কার করুক। জায়গাটিকে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘিরে রাখা হোক।