নিজস্ব প্রতিনিধি: ১০ বছরের সম্পর্ক। বিয়ের দিনও ঠিক হয়ে গিয়েছিল। শুরু হয়ে গিয়েছিল বিয়ের জন্য শাড়ি আর গয়না কেনার পালাও। কিন্তু তার মাঝেই ঘটে গেল অঘটন। হবু বরের হাতে খুন(Murder) হয়ে গেলেন এক তরুণী। আর সেটাও ঘটল তরুণীর জীবনে দ্বিতীয় এক পুরুষের অনুপ্রবেশে। ঘটনাস্থল দক্ষিণ কলকাতার(Kolkata) গড়ফা(Garfa) থানা এলাকা। সেখানেই রবি দুপুরে নিজের প্রেমিক তথা হবু বরের হাতে খুন হয়েছেন সুস্মিতা দাস(Sushmita Das) নামে এক তরুণী। সেই খুনের ঘটনায় রবিবার মাঝরাতে আটক করা হয় পঙ্কজ দাস(Pankaj Das) নামে ওই যুবককে। টানা জেরা করার পরে সে পুলিশের কাছে স্বীকার করে, সুস্মিতা অন্য এক পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছে সেটা জানতে পেরেই তাঁদের মধ্যে ঝগড়া বেঁধেছিল। ঝগড়ার মাঝে রাগে উন্মত্ত হয়ে সে গলা টিপে খুন করেছে সুস্মিতাকে। সেই স্বীকারোক্তির পরেই সোমবার সকালে পুলিশ পঙ্কজ দাসকে গ্রেফতার(Arrest) করে। এদিনই তাকে আদালতে তোলা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, সুস্মিতা ও পঙ্কজের সম্পর্ক ১০ বছরের। সুস্মিতাদের গড়ফার বাড়িতে যাতায়াতও ছিল উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবড়া এলাকার বাসিন্দা পঙ্কজের। দুই পরিবারই দুইজনের সম্পর্ক জানত। তবে ১০ বছরের সম্পর্ক হলেও পঙ্কজ বেশিরভাগ সময়েই আন্দামানে থাকত কর্মসূত্রে। সম্প্রতি সেই চাপ দিচ্ছিল বিয়ের জন্য। দুই পরিবার তাতে রাজিও হয়ে যায়। এমনকি বিয়ের খরচ হিসাবে সুস্মিতার মা লোন নিয়ে পঙ্কজের হাতে ১ লক্ষ টাকা তুলেও দেন। রবিবার দুপুরে পঙ্কজ এসেছিল গড়ফায় সুস্মিতার বাড়িতে। দুপুরে সেখানে খাওয়াদাওয়াও করে। এরপরে দুইজনে আলাদা ঘরে চলে যায়। সেখানেই সুস্মিতার ফোন হাতড়ে পঙ্কজ জানতে পারে অপর এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছে সুস্মিতা। তা থেকেই বাঁধে বিবাদ। বিকালে পঙ্কজ বেড়িয়ে যাওয়ার পরে সুস্মিতার পরিবারের লোকেরা তাঁকে অচেতন অবস্থায় ঘরে পড়ে থাকতে দেখে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বাঙুর হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এরপরেই পঙ্কজের বিরুদ্ধে গড়ফা থানায় সুস্মিতাকে খুন করার অভিযোগ দায়ের করেন সুস্মিতার মা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ রবিবার মাঝরাতে হাবড়া থেকেই আটক করে পঙ্কজকে।