নিজস্ব প্রতিনিধি: ফেসবুক লাইভ কিংবা সংবাদমাধ্যমে এসে দলেরই একাংশ নেতাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ। আবার কখনও কখনও দলের নীতি নির্ধারণের বিরুদ্ধে মুখ খোলার জের। কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের বিরুদ্ধে শাস্তিযোগ্য ব্যবস্থা আনছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। শুক্রবার বিকেলের মধ্যেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্ট্যোপাধ্যায়। ঘটনার সূত্রপাত গত ৭ ফেব্রুয়ারি। তৃণমূলের তরফে সাংবাদিক সম্মেলনে মহাসচিব পার্থ চট্ট্যোপাধ্যায় জানান, ‘ওঁর (মদন) কোনও মন্তব্যের জবাব আমি দেব না।’ এর পরেই গত বৃহস্পতিবার মদন মিত্র আবার প্রকাশ্য সভায় বলেন, ‘ফেসবুকে সুব্রত বক্সী লিখেছেন মমতা ছাড়া কারও ছবি নয়। মমতা ছাড়া আর কারও ছবি থাকবে না কেন? যারা যুব তৃণমূল করে, তারা তো অভিষেকের ছবি দেবেই। প্রতি মুহূর্তে দলে এত পরিবর্তন হচ্ছে। আমার তো অভিষেককে ভালোই লাগে। ওকে দেখলে প্রিয়দার কথা মনে পড়ে। বাদ বাকি কেউ মোটা আবার কেউ সোটা, তাঁদের ভালো লাগে না।’
যদিও সেই মন্তব্যের জন্য বৃহস্পতিবার রাতেই ক্ষমা চেয়ে নেন তৃণমূল নেতা। কিন্তু তাতে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব ইতিমধ্যেই কামারহাটির বিধায়কের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের নোটিশ আনছেন বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, দলের নেতাদের বিরুদ্ধে এইভাবে ‘কাদা ছোড়া’ ভালভাবে নিচ্ছে না দলীয় নেতৃত্বই। সে কারণেই মদনকে শো কজ করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে অবশ্য মদন মিত্র জানিয়েছেন, দল শো কজ করলে তিনি তাঁর জবাবও দেবেন। যদিও দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি জানিয়েছে মদনের শোকজের জবাবে সন্তুষ্ট না হলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সেখানে কড়া শাস্তির মুখে পড়তে পারেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক।
এর আগেই আইপ্যাক ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রকাশ্যে মুখ খোলায় সৌগত রায়কে সাবধান করেছে দল।