নিজস্ব প্রতিনিধি: এসএসকেএম নিয়ে ‘বিদ্রোহী’ হয়েছিলেন মদন মিত্র (MADAN MITRA)। গত শুক্রবারের পর শনিবার এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছিল, অনভিপ্রেত ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ আছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নেওয়া হবে। এরপরে রাতে তাঁর নামে এফআইআর দায়ের করা হয়। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল যুবরাজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ কামারহাটির বিধায়ক।
গত শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে মদন মিত্র বলেছিলেন, তিনি বিধায়ক পদ ছেড়ে দিয়ে টিউশনি পড়াতেও রাজি। বলেছিলেন, রাজনীতি ছাড়তেও রাজি। তাঁর দাবি, তৃণমূল প্রতীক দিলেও তাঁকে জিতিয়েছে কামারহাটির জনগণ। দাবি, কর্তব্যে অবহেলার জন্য কর্তব্যরতদের সাসপেন্ড করার। প্রশ্ন ছিল, কেন অসুস্থ স্বাস্থ্যকর্মীকে ভর্তি নেওয়া হবে না? এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মাঠে নেমেছিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। বলেছিলেন, হাসপাতালে গণ্ডগোল যেমন কাম্য নয় তেমন কাম্য নয় কর্তব্যে গাফিলতি করে মদন দা’র নামে দোষ চাপানো। শনিবার রাতে মদন-কুণাল সাক্ষাতের পর স্পষ্ট মদন দলেই আছেন।
রবিবার এসএসকেএম ইস্যুতে মদন বলেন, ‘কণ্ঠে আমার কাঁটার মালা। কেসের মালা’। বলেন, কেস খেয়ে তিনি লজ্জিত নন। মানুষের জন্য কেস খেয়েছেন। গরু বা সোনা পাচারের জন্য নয়। আরও বলেন, কামারহাটিতে বুক ফুলিয়ে ঢুকব।
এদিন তিনি মুখ খোলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সিবিআই জেরা সম্পর্কে। বলেন, ‘বাঘের বাচ্চার মতো লড়াই করেছেন অভিষেক’। উল্লেখ্য, অভিষেক গতকাল নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে বলেছিলেন, তিনি দিল্লির পোশা কুকুর হয়ে বশ্যতা স্বীকার করবেন না। তিনি বাংলার রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার হবেন। তাঁর প্রশংসা করে মদন রবিবার বোঝালেন, তিনি দলেই আছেন। শুধু অভিমানী।