নিজস্ব প্রতিনিধি: কংগ্রেসের সঙ্গে নয়, জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একলা চলো নীতি তৃণমূলের। মোদি বিরোধিতায় মুখ মমতাই। সোমবারে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনে বসেছিল ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক। যার মূল উদ্দেশ্যে ছিল ২০২৪-কে পাখির চোখ করে বিজেপি বিরোধিতায় ও মোদির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কীভাবে এগোবে তৃণমূল। যাতে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের কার্যকরনীর বৈঠকের ২১ জন সদস্য। এছাড়াও হাজির ছিলেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফালেরিয়া, যশবন্ত সিনহা, মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা মুকুল সাংমা, হরিয়ানার প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা অশোক তানওয়ার ও সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া পবন ভর্মা। এদিনের বৈঠকে ঠিক হয়েছে জাতীয় স্তরে দলকে বাড়াতে সংবিধান বদলাবে তৃণমূল। অর্থাৎ তৃণমূলের ওয়ার্কিং কমিটিতে এবার থেকে স্থান দেওয়া হবে বাইরের রাজ্যের নেতাদের। যেটা এতদিন দেওয়া হত না।
Today, AITC leaders from Meghalaya met with our Chairperson @MamataOfficial and our National General Secretary @abhishekaitc.
Special moments from the event ?? pic.twitter.com/jM4gZkVCS5
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) November 29, 2021
২০২৪ লোকসভা, তার আগেই রয়েছে পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন। এছাড়াও ত্রিপুরা, গোয়া, হরিয়ানা ও মেঘালয়ে সংগঠন গড়ছে তৃণমূল। তাই সেখানকার নেতাদের তৃণমূলের ওয়ার্কিং কমিটিতে স্থান দিয়ে লড়াইয়ের ময়দানে নামতে চাইছে শীর্ষ নেতৃত্ব। আর তাই দলের সংবিধান বদলানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন। তিনি জানিয়েছেন, ‘এখন তৃণমূলের সংবিধান অনুযায়ী ২১ জন সদস্য রয়েছেন। সংখ্যা বাড়ানো হবে। নেত্রীকেই সেই দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নতুন বেশ কয়েকজনকে কমিটিতে নেওয়া হবে।’ কালীঘাটে এদিনের বৈঠকে ঠিক হয়, কংগ্রেস নয়। যে যে দল নিজেদের রাজ্যে শক্তিশালী তাদের একসঙ্গে করেই দিল্লিতে মোদির বিরুদ্ধে লড়াই হবে। আর তার মুখ হবেন মমতা। এই বিষয়ে ডেরেক ও ব্রায়েন জানিয়েছেন, ‘বাংলা ভারতবর্ষকে মে মাসে দেখিয়েছে কীভাবে বিজেপিকে রোখা যায়। ২০২৪ সালে সারা দেশকে পথ দেখাবে। আমরা গ্রোয়িং পার্টি। মমতাদির লড়াই, কর্মীদের মৃত্যু গোটা দেশে পৌঁছে যাচ্ছে। তবে তৃণমূলের ডিএনএ পরিবর্তন হচ্ছে না। শুধু দলের সংবিধান পরিবর্তন করা হচ্ছে।’
প্রাক্তন জেডিইউ নেতা পবন ভর্মা জানিয়েছেন, ‘আজ দেশের যা অবস্থা তাতে এটা স্পষ্ট সারা দেশে বিজেপির বিরুদ্ধে সবাইকে আন্দোলনে নামতে হবে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই এই দ্বায়িত্ব নিতে হবে।’ কালীঘাটে সোমবারের বৈঠকে হাজির ছিলেন সৌগত রায়, শোভনদেব চট্ট্যোপাধ্যায় সহ ওয়ার্কিং কমিটির বাকি সদস্যরা। এদিনের বৈঠক শুরুর আগে প্রয়াত পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে স্মরণ করা হয়। এছাড়াও মুকুল সাংমা সহ বাকি ১১ বিধায়ক, অশোক তানওয়ার ও পবন ভর্মাকে সংবর্ধনা দেয় সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।