নিজস্ব প্রতিনিধি: জাতীয় নির্বাচন কমিশন আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র ও বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের দিন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই জল্পনা শুরু হয়েছিল উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা(Higher Secondary Examination) ঘিরে। কেননা ঘোষিত পরীক্ষাসূচির মধ্যেই পড়ে গিয়েছিল উপনির্বাচনের দিনক্ষণ। যেহেতু উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণের জন্য স্কুলে বুথ করা হয় তাই প্রশ্ন উঠেছিল একই সঙ্গে ভোট গ্রহণ ও পরীক্ষা কীভাবে চলবে একসঙ্গে। আর সেই জায়গা থেকেই উঁকি মারছিল উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সূচি আবারও বদল করা হবে কিনা। তবে সেই বদল না ঘটিয়ে যদি উপনির্বাচনের দিনক্ষণ পিছিয়ে দেওয়া যায় সেই চেষ্টা শুরু করে রাজ্যের শাসক দল। জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে এই মর্মে তাঁরা চিঠিও দেয়। চিঠি পাঠায় রাজ্য সরকারও। কিন্তু কোনও অনুরোধেই কান দেয়নি কমিশন। তাঁরা বৃহস্পতিবার সকালেই জানিয়ে দেয় নির্বাচন পিছোনো হচ্ছে না। এরপরেই সামনে আসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) এদিন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সূচি নতুন করে ঘোষণা করবেন।
সেই মতন বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টের সময় মুখ্যমন্ত্রী চলতি বছরের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাসূচি ফের একবার জানিয়ে দেন। তিনি জানিয়েছেন, ২রা এপ্রিল হবে প্রথম ভাষার পরীক্ষা(First Language), ৪ এপ্রিল দ্বিতীয় ভাষার(Second Language) এবং ৫ এপ্রিল হবে ভোকেশানাল সাবজেক্টের পরীক্ষা। এরপরের পরীক্ষা হবে ১৬ এপ্রিল। সেদিন অঙ্কের গ্রুপের পরীক্ষা হবে। ১৬ এপ্রিল হবে অঙ্কের গ্রুপের পরীক্ষা, ১৮ এপ্রিল হবে ইকোনমিক গ্রুপের পরীক্ষা, ১৯ এপ্রিল হবে কম্পিউটার সায়েন্স গ্রুপের পরীক্ষা এবং ২০ এপ্রিল হবে কমার্শিয়াল ল গ্রুপের পরীক্ষা। ২২ এপ্রিল হবে ফিজিক্স গ্রুপের পরীক্ষা, ২৩ এপ্রিল থাকছে স্ট্যাটিসটিক্স গ্রুপের পরীক্ষা। ২৬ এপ্রিল থাকছে কেমেস্ট্রি গ্রুপের পরীক্ষা এবং ২৭ এপ্রিল হবে বায়োলজিক্যাল গ্রুপের পরীক্ষা। তবে মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণায় পরিষ্কার হয়নি বাণিজ্য ও কলা বিভাগের পরীক্ষাগুলি কবে কবে হবে। যদিও মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন উচ্চশিক্ষা দফতর এই বিষয়ে বিস্তারিত যা জানাবার জানিয়ে দেবে।
তবে এই বার বার পরীক্ষাসূচিতে বদল ঘটার জন্য এদিন মুখ্যমন্ত্রী পরীক্ষার্থী(Students) ও তাদের অভিভাবকদের কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে নেন। তিনি বলেন, ‘অনেক কিছু ভেবে সূচি বদল করতে হচ্ছে। বার বার পরিবর্তন করার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। বিশেষ পরিস্থিতির জন্য উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা সূচি বদল করতে হল। বড় পরীক্ষার আগে মানসিক চাপ থাকে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে। বার বার সেই পরীক্ষা সূচিতে বদল ঘটানো হলে পরীক্ষার্থীদের খুব অসুবিধা হয়। তাই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। তবে আমরা চেষ্টা করেছি যতটা সম্ভব এক রাখতে। আগের সূচীতে ২৬ এপ্রিল পরীক্ষা শেষ করতে হত, নতুন সূচীতে সেটা ১দিন বেড়ে ২৭ এপ্রিল শেষ হচ্ছে।’