নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মেঘালয়ে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে উত্তর-পূর্বের রাজ্যে কোমর বেঁধে নেমেছে বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে চলতি বছরের ডিসেম্বরে মেঘালয়ে যেতে পারেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বোচ্চ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
তৃণমূল সূত্রের খবর, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মেঘালয়ে লড়বে জোড়াফুল শিবির। ইতিমধ্যে সে রাজ্যে সংগঠনের বিস্তার ঘটেছে অনেকটা। আর এবার তৃণমূল কংগ্রেসকে সাধারণ মানুষের কাছে আরও ছড়িয়ে দিতে মেঘালয়ে যাবেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, আগামী ডিসেম্বর মাসে উত্তর পূর্বের এই রাজ্যে যেতে পারেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। শিলংয়ে সভা করতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যে একটি তারিখ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত গত বৃহস্পতিবার মেঘালয়ে পৌঁছে সন্ধেবেলা শিলংয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের একটি নতুন দলীয় কার্যালয়ের উদ্বোধন করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার জনসভাও করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সেই সভা থেকে মেঘালয়ের বর্তমান রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন তিনি। একইসঙ্গে দলের আদর্শ ও পরম্পরার কথা বলেন জনসভায়। শুক্রবার মেঘালয়ের তুরা ল’কলেজের মাঠে অভিষেক দাবি করেন, দেশের বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের সেই পরম্পরা ধারণ ও বহন করে চলেছে বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। ডায়মন্ডহারবারের সাংসদের কথায়, ‘তৃণমূল কংগ্রেস মানে বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য।’ তৃণমূল কংগ্রেস যে সর্ব ধর্মকে সম্মান ও শ্রদ্ধা করে এদিন সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে সে কথা বুঝিয়ে দেন সাংসদ। তৃণমূল কংগ্রেসের নতুন ব্যাখ্যা দিয়ে এদিন অভিষেক বলেন, টিএমসি’র টি মানে টেম্পল অর্থাৎ মন্দির, এম মানে মস্ক অর্থাৎ মসজিদ, সি মানে চার্চ অর্থাৎ গির্জা। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূল কংগ্রেস যে সকল ধর্মের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে চলতে চায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন সেই বার্তা দিলেন উত্তর পূর্বের এই রাজ্যে।