এই মুহূর্তে




ভোটার তালিকায় অনলাইনে নাম তোলা নিয়ে আপত্তি মমতার




নিজস্ব প্রতিনিধি: অনলাইনে ভোটার তালিকায় নাম তোলা নিয়ে তীব্র আপত্তি জানালেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাজ্য বিধানসভায় বাজেট পেশের পর সাংবাদিক বৈঠকে নির্বাচন কমিশনের আনলাইনে ভোটার তালিকায় নাম তোলার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভার ভোট রয়েছে। নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করাবে। অনলাইনে ভিন রাজ্যের বাসিন্দাদের নাম ভোটার তালিকায় ঢোকানো হবে। যাতে তারা এসে ভোট দিতে পারে। কিন্তু বাংলা এই চেষ্টাকে রুখে দেবে।’

বিধানসভায় অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের পেশ করা বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে মমতা বলেন, ‘কেন্দ্রীয় বাজেটে শুধু প্রতিশ্রুতি থাকে। আমরা নিজস্ব রাজস্ব থেকে বাজেটে বরাদ্দ করি। বাজেটে যা বলি, তাই করি।’ কেন্দ্রের কাছ থেকে সঠিক আর্থিক সাহায্য না পাওয়া নিয়েও ক্ষোভ উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘আবাস যোজনা থেকে ১০০ দিনের কাজে কেন্দ্রের কাছে বহু টাকা বরাদ্দ। কিন্তু সেই বকেয়া পাওনা মেটাচ্ছে না কেন্দ্র। তা সত্বেও কন্যাশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী-র মতো জনকল্যাণমূলক প্রকল্প চালিয়ে যাচ্ছি। ৯ কোটি মানুষ স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা পাচ্ছে। কন্যাশ্রীর জন্য এখনও পর্যন্ত ১৫ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। ৮০ হাজার পড়ুয়াকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়েছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য এখনও পর্যন্ত ৫০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। আমাদের দেখাদেখি অনেক রাজ্য লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নকল করে একাধিক প্রকল্প চালু করেছে। তবে অন্য রাজ্যের থেকে আমাদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার আলাদা। ওঁদের অনেক শর্ত থাকে।’

এদিন বীরভূমের দেউচা-পাঁচামি প্রকল্প নিয়েও বড় আশার কথা শুনিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দাবি, ‘দেউচা-পাচামি প্রকল্প পুরোদমে চালু হলে আগামী ১০০ বছর রাজ্যে বিদ্যুতের অভাব হবে না। বিদ্যুৎ পরিষেবা পেতে খরচও হবে কম।’ এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘আগামী প্রজন্ম ১০০ বছর যাতে লোডশেডিংয়ের সমস্যায় না ভোগে এবং বিদ্যুতের দাম যাতে না বাড়ে তাই এই প্রকল্প। কমপক্ষে ১ লক্ষ যুবক-যুবতী চাকরি পাবেন। কয়লা উৎপাদন হলে বিদ্যুতের দামও কমে যাবে।’ সিইএসসি’র  বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি নিয়ে রাজ্য সরকারের যে কিছু করার নেই, তা উল্লেখ করে মমতা বলেন, “রাজ্য সরকার বিদ্যুতের দাম না বাড়ালেও সিইএসসি বাড়ায়। মানুষকে অনেক ভুগতে হয়। ওটা আমাদের হাতে নেই। ওটা স্বশাসিত সংস্থা। সিপিএম সরকারে থাকাকালীন দিয়ে গিয়েছে।’




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

দোল ও হোলিতে গোলমাল প্রসঙ্গে বিধানসভায় ব্যাপক হইচই বিজেপির, নিন্দায় সরব শাসক দলের বিধায়করা

ইডিকে বয়ান দিলেন পার্থর জামাই, কী বললেন নিয়োগ কেলেঙ্কারি নিয়ে?

কলকাতা বিমানবন্দরে লক্ষ লক্ষ টাকার বৈদেশিক মুদ্রা-সহ আটক এক যাত্রী

বিধানসভা ভোটে ‘পুরনো’ অস্ত্রেই বিরোধীদের ঘায়েল করার কৌশল তৃণমূল কংগ্রেসের

আগামী সপ্তাহের সোম ও মঙ্গলবার ব্যাঙ্ক ধর্মঘট, ব্যাহত হবে এটিএম পরিষেবা

দু’সপ্তাহ পার করে সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ে এলেন যাদবপুরের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর