নিজস্ব প্রতিনিধি: রাশিয়ার ইউক্রেন(Ukraine) আগ্রাসনের জেরে যুদ্ধ লেগে গিয়েছে। সেই যুদ্ধের কারণেই সেখানে আটকে পড়ে প্রায় ২০ হাজার ভারতীয়। তাঁদের মধ্যে এ রাজ্যেরও প্রায় ৪০০জন বাসিন্দা ছিলেন যাদের প্রায় সবাই পড়ুয়া(Students)। বেশ কয়েক দফায় তাঁদের এদেশে ফিরিয়ে এনেছে কেন্দ্র সরকার। সেই সব পড়ুয়াদের নিয়ে গত ১৬ মার্চ কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মুখোমুখি বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোয়াপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। সেই বৈঠক থেকেই তিনি জানিয়েছিলেন, ইউক্রেন ফেরত এ রাজ্যের ৩৯১ জন পড়ুয়ার কেরিয়ার ও ভবিষ্যৎ যাত সুরক্ষিত থাকে তার জন্য তিনি চেষ্টা করবেন তাঁরা যাতে বাংলা থেকে তাঁদের পড়াশোনা করার সুযোগ পায়। কিন্তু মঙ্গলবার পাহাড়ে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জানালেন কেন্দ্র সরকার সেই পড়াশোনা করার প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। এদিনের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী কার্যত সাফ অভিযোগ তোলেন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে যে তাঁরা ইউক্রেন ফেরত পড়ুয়াদের সঙ্গে ছিনিমিনি খেলছে।
গত ১৬ মার্চ মুখ্যমন্ত্রী বাংলার ইউক্রেন ফেরত ৩৯১জন পড়ুয়ার সঙ্গে কলকাতার(Kolkata) নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে যে বৈঠক করেন সেখানেই তিনি বুঝে যান, ওই পড়ুয়ারা চিন্তিত তাঁদের পড়াশোনা শেষ করতে পারবে কিনা, শেষ করতে পারলেও তা কোথা থেকে তাঁরা করবেন, ইনটার্নের সুযোগ কোথা থেকে মিলবে এবং সর্বোপরি আরও কত টাকা তাঁদের খরচ করতে হবে এই সব নিয়ে। তাই তাঁদের সঙ্গে সেদিন বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ন্যাশনাল মেডিকেল কাউন্সিলের সঙ্গে কথা বলে ইউক্রেন ফেরত মেডিকেল ছাত্র-ছাত্রীদের বেসরকারি কলেজে পড়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। এইসব পড়ুয়াদের বেসরকারি কলেজে যাতে টাকা পয়সা বেশি না লাগে তার লিমিটও করে দেওয়া হবে রাজ্য সরকারের তরফে। একপ্রকার সরকারি কলেজের মতোই খরচে পড়ার সুযোগ করে দেবে রাজ্য সরকার। ফি মুকুবের জন্য সরকারের তরফ থেকে দেওয়া হবে স্কলারশিপ। সেই সঙ্গে সব ইন্টার্নদের দেওয়া হবে স্টাইপেন্ডও। ইউক্রেন ফেরত ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রদের পশ্চিমবঙ্গে পড়ার ব্যবস্থা করবে রাজ্য সরকার।
কিন্তু এদিন দার্জিলিংয়ের(Darjeeling) সভা থেকে বেশ ক্ষোভের সুরেই মমতা বলেন, ‘আমি বলেছিলাম, ইউক্রেনে থেকে ফিরে আসা ডাক্তারি পড়ুয়াদের এখানে কোর্স শেষ করার সুযোগ দেওয়া হোক। নিজের নিজের রাজ্যে কোর্স শেষ করতে দেওয়া হোক তাঁদের। আমার টাকার দরকার ছিল না। নিজের খরচে ওঁদের পড়াতাম। কিন্তু গতকাল সংসদে কেন্দ্র জানিয়ে দিয়েছে, তাঁরা অনুমতি দেবে না। পড়ুয়াদের জন্য কোনও দরদ নেই ওঁদের। বহু পড়ুয়ার জীবনের সঙ্গে ছিনিমিনি খেলছে কেন্দ্র।’