নিজস্ব প্রতিনিধি: একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসার আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন। জানিয়েছিলেন, জিতে ক্ষমতায় এলে রাজ্যের মহিলাদের প্রতি মাসে ৫০০ টাকা করে দেবে তাঁর সরকার। জেনারেল ক্যাটাগরি বা সাধারণ পরিবারের মেয়েরা মাসে ৫০০ টাকা করে বছরে মোট ৬ হাজার টাকা পাবেন। পিছিয়ে পড়া শ্রেণিভুক্তেরা পাবেন প্রতি মাসে ১০০০ টাকা করে বছরে ১২ হাজার টাকা। ইতিমধ্যে প্রায় ১ কোটি ৬০ লক্ষ মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রতি মাসে সরাসরি টাকা পাঠাছে রাজ্য। মূলত রাজ্যের মহিলাদের সশক্তিকরণের লক্ষ্যেই বাংলায় ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’(Lakhir Bandhar) প্রকল্প চালু করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন মা-মাটি-মানুষের সরকার(Ma-Mati Manusher Sarkar) পূর্ণ করল রাজ্যের ক্ষমতায় আসার ১১ বছর। আর সেই দিনেই বাংলার মহিলাদের ‘সমাজের মূল প্রাণ, ঘরের লক্ষ্মী’ বলে সম্বোধিত করলেন।
এদিন কলকাতার(Kolkata) নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে(Netaji Indoor Stadium) ‘উন্নয়নের পথে ১১ বছর’ শীর্ষ অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ১৫জন মহিলার হাতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধা তুলে দেন। সেই সঙ্গে এদিন থেকেই আরও ২০ লক্ষ মহিলাকে নিয়ে আসা হল এই প্রকল্পের আওতায়। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী জেতার চারমাসের মধ্যেই, রাজ্যের ১ কোটি ৫৩ লক্ষাধিক মহিলাকে আনা হয় ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের অধীনে। তফসিলি জাতি ও তফসিলি উপজাতির উপভোক্তারা এখন প্রতিমাসে পান ১০০০ টাকা ও অন্য মহিলারা ৫০০ টাকা। এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের অনুষ্ঠানে বিভিন্ন জেলা থেকে মহিলারা এসেছিলেন।
এদিনের অনুষ্ঠানেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গত বছর এই দিনে আপনাদের আশীর্বাদে আমার শপথ নেওয়ার সুযোগ হয়েছিল তৃতীয় বারের জন্য। আজকের দিন মা মাটি মানুষকে উৎসর্গ করতে চাই। সে জন্যই বেছে নিয়েছি আমাদের সমাজের মূল প্রাণ, আমার মা-বোনেরা, যাঁরা ঘরের লক্ষ্মী। আজ এক বছর বাদে গর্ব করে বলতে পারি যা যা আমি প্রতিশ্রুতি দিয়েছি তার প্রত্যেকটাই কার্যকর করেছি। এক কোটি ৫১ লক্ষ মহিলা আগেই লক্ষ্মীর ভান্ডার পেয়েছে। বিজিবিএস-এ আরও ৫ লক্ষ দেওয়া হয়েছে। বাকি ছিল ২০ লক্ষ মহিলা। তাঁদের অ্যাকাউন্টে আজ টাকা পৌঁছে গিয়েছে। আমরা যেটা বলি সেটা করি। অন্যেরা সেটা করে না। বরং কুৎসা করে।’