নিজস্ব প্রতিনিধি: জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্প যা National Food Security Act বা NFSA নামে বেশি পরিচিত তাতে কোন রাজ্যে কত সংখ্যক মানুষ কতখানি সুবিধা পাবে সেই কোটা বা সংখ্যা অনেক বছর আগেই নির্দিষ্ট করে দিয়েছে মোদি সরকার(Modi Government)। কিন্তু দেখা যাচ্ছে সারা দেশে রেশন গ্রাহকদের(Ration Consumer) যা সংখ্যা হওয়া উচিত ছিল বাস্তবে তার চেয়ে অনেক কম মানুষ সেই সুবিধা পাচ্ছেন। এর অন্যতম কারণ হিসাবে উঠে এসেছে, বিজেপি(BJP) শাসিত একাধিক ‘ডাবল ইঞ্জিন’(Double Engine) রাজ্য গ্রাহকদের কোটা পূরণ করতে না পারার বিষয়টি।
আরও পড়ুন জঙ্গল সুন্দরীতে বিনিয়োগ ৮ হাজার কোটি টাকা, কাজ পেয়েছেন ৭ হাজার মানুষ
কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রকের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বলে দিচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) নিজ রাজ্য গুজরাতে নির্ধারিত কোটার ৮৯.৮৯ শতাংশ পূরণ হয়েছে। বিজেপি শাসিত আরেক রাজ্য মধ্যপ্রদেশে কোটার ৯৩.৫৮ শতাংশ পূরণ হয়েছে। উত্তর-পূর্বের ‘ডাবল ইঞ্জিন’ রাজ্য মণিপুরে পূরণ হয়েছে ৮০ শতাংশ এবং ত্রিপুরায় ৯৭.২০ শতাংশ। যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশে বরাদ্দকৃত কোটার ৯৮.৫০ শতাংশ পূরণ হয়েছে। হিমাচল প্রদেশে মাস দু’য়েক আগে পর্যন্ত বিজেপি শাসিত সরকার ছিল। সেখানে ৭৭.৮০ শতাংশ কোটা পূরণ হয়েছে। বিজেপি শাসিত এই সব রাজ্যগুলির কোটা পূরণে ব্যর্থতার জন্যই দেশের ১ কোটি ২৫ লক্ষ মানুষ বিনা পয়সায় খাদ্যশস্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে খাদ্যমন্ত্রকের নোটে উঠে এসেছে।
আরও পড়ুন Jal Jiban Mission প্রকল্পের আওতায় বাংলার ৫৫ লক্ষ বাড়ি
‘ডাবল ইঞ্জিন’ রাজ্যগুলির এই অবস্থা হলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) বাংলার(Bengal) পরিস্থিতি অনেক ভালো। ২০১৪ সালে এই প্রকল্প চালু হওয়ার সময় থেকেই বাংলার নির্ধারিত কোটার পুরোটাই অর্থাত ৬ কোটি ১ লক্ষ ৮৪ হাজার পূরণ করা হয়েছা যা এখনও অব্যাহত। মৃত্যুজনিত বা অন্য কোনও কারণে বাতিল হওয়া কার্ডের জায়গায় নতুন গ্রাহকদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের বাইরে থাকা মানুষের জন্যও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার নিজস্ব খরচে বিনামূল্যে খাদ্যশস্য সরবরাহ করে। জাতীয় প্রকল্পের কোন কার্ড বাতিল হলে সেই জায়গায় সঙ্গে সঙ্গে রাজ্য প্রকল্পের আওতায় থাকা গ্রাহকদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন পঞ্চায়েত ভোটের আগেই মিটিয়ে দেওয়া হবে সাম্মানিক, বরাদ্দ ২০০ কোটি
জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পটি চালুর সময় কেন্দ্র নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, গ্রামীণ জনসংখ্যার ৭৫ শতাংশ এবং শহরের ৫০ শতাংশ পর্যন্ত মানুষকে এর আওতায় আনা হবে। ২০১১ সালে জনগণনার সময় যে আর্থ- সামাজিক সমীক্ষা হয়েছিল, তার ভিত্তিতে বিভিন্ন রাজ্যের কোটা ঠিক করে কেন্দ্র। কিন্তু সুবিধা প্রাপকদের চিহ্নিত করার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট রাজ্য প্রশাসনকেই দেওয়া হয়। সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত এলাকার কোটা মিলিয়ে মোট সুবিধা প্রাপকের সংখ্যা দাঁড়ায় ৮১ কোটি ৩৫ লক্ষ। অনেকে কোটা পূরণ করতে না পারায় ৮০ কোটি ১০ লক্ষ ৭৮ হাজার মানুষ এখন এর সুবিধা পাচ্ছেন।