নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের(West Bengal State Government Employee) বকেয়া মহার্ঘ্য ভাতা বা DA নিয়ে আন্দোলনকাড়ীদের সুর যেমন চড়ছে তেমনি সুর চড়াচ্ছেন রাজ্যের শাসক দলের নেতামন্ত্রীরাও। এরই মাঝে রাজ্য সরকার এবার উদ্যোগী হল রাজ্যের পঞ্চায়েত সদস্যদের(Panchayat Members) যে ভাতা দেওয়া হয়ে সেই ভাতা(Salary) মিটিয়ে দিতে। তার জন্য প্রায় ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কার্যত পঞ্চায়েত ভোটের(Panchayat Election) কথা মাথায় রেখেই সেই নিররাবাচনের আগেই ২০১৮ সালের নির্বাচনে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সমস্ত বকেয়া মিটিয়ে দিচ্ছে নবান্ন। প্রশাসনিক মহলে এই ভাতা ‘এরিয়ার’ হিসাবে চিহ্নিত।
আরও পড়ুন বৈকুন্ঠপুরের দোল পূর্ণিমা আর গোপালের হাতি চড়া
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে পঞ্চায়েতের তিন স্তরে জনপ্রতিনিধির মোট সংখ্যা ৫৭ হাজার। তাঁরা প্রত্যেকেই প্রতিমাসে সাম্মানিক পান। এই টাকা মাস পয়লা দেওয়া শুরু হয় ২০২১ সালের ডিসেম্বরে। তার আগের অনেক মাসের সাম্মানিক তাঁরা পাননি বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। ২০১৩-১৮ পর্যন্ত সময়ের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের বকেয়া সাড়ে চার কোটি টাকা রাজ্য মিটিয়েছে ২০২২ সালের নভেম্বরে। ২০১৮ সালে গঠিত বোর্ডের সদস্যদের ২০২১-এর ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রাপ্য অর্থ এবার মিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এমনিতে প্রতিমাসে এই সাম্মানিক দিতে খরচ হয় প্রায় ২১ কোটি টাকা। ওইসঙ্গে এই বকেয়া মেটাতে আলাদা করে লাগবে ২০০ কোটি টাকা। একে একে প্রতিটি জেলার এই প্রাপ্য মেটাবার কাজ শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন পুরাতন কলকাতার দোল ছিল বাবুয়ানি এবং আভিজাত্যে পূর্ণ
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান, হুগলি এবং নদীয়া জেলার জনপ্রতিনিধিরা এই টাকা পেয়ে গিয়েছেন। বাকি জেলাগুলির জন্যও কাজ চলছে জোর কদমে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এই সাম্মানিক দু’বার বাড়িয়েছে, ২০১৭ ও ২০১৯ সালে। বাম আমলে সভাধিপতিরা বাড়িভাড়া ও ভাতাসমেত মাসে ৪,১০০ টাকা সাম্মানিক পেতেন। সেটা এই জমানায় হয়েছে ৯,০০০ টাকা। ভাতা একইভাবে বেড়েছে নীচের প্রতিটি ধাপেও। জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতিরা এখন ৮,০০০ টাকা এবং কর্মাধ্যক্ষরা ৭,০০০ টাকা পাচ্ছেন। গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যদের ক্ষেত্রে অঙ্কটি ৩,০০০ টাকা, এটাই সর্বনিম্ন।