এই মুহূর্তে




৬ মাসে মমতার সরকার ঋণ নিয়েছে ১৬ হাজার কোটি টাকা




নিজস্ব প্রতিনিধি: কোভিডে ধাক্কা খেয়েছে অর্থনীতি। তা সে আমজনতার হোক কী দেশের। তার আঁচ পড়েছে রাজ্যের কোষাগারেও। দেশের অর্থনীতিবিদরা বার বার দেশের সরকারের কাছে কোভিডকালে আর্জি জানিয়েছিল আমজনতার হাতে যাতে সরাসরি টাকা যায় তার ব্যবস্থা করতে। যদিও তাতে কর্ণপাত করেনি মোদি সরকার(Modi Government)। কিন্তু বাংলার বুকে আমজনতার হাতে সরাসরি টাকা যাতে পৌঁছে যায় তার ব্যবস্থা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, বিধবা ভাতা, জয় জোহর, বার্ধক্য ভাতা, কৃষকবন্ধু, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, রূপশ্রী এইসব কিছুর মধ্যে দিয়ে তিনি বাংলার আমজনতার কাছে নগদ টাকা পৌঁছে দিয়েছেন। এর সঙ্গে ছিল বিনামূল্যের রেশন, খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্যসাথীর মতো প্রকল্প যার উপকার পেয়েছেন বাংলার মানুষ। এর জেরে বাংলার অর্থনীতি(Bengal Economy) দেশের আর পাঁচটা রাজ্যের অর্থনীতির তুলনায় কোভিডে কম ধাক্কা পেয়েছে, রাজ্যের মানুষের আর্থিক উন্নয়নও ঘটেছে। সেই সব প্রকল্প কিন্তু এখন চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে রাজ্য সরকার। আর সেই কারণেই চলতি অর্থবর্ষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন বাংলার মা-মাটি-মানুষের সরকার চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ৬ মাসে বাজার থেকে ১৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ(Loan) নিয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।

তবে গল্প এখানেই শেষ নয়, রাজ্য সরকার যাতে বাজার থেকে আরও ঋণ নিতে পারে তার জন্য এবার রাজ্য বিধানসভায়(West Bengal State Assembly) একটি বিশেষ বিল পাশ করতে চলেছে মমতার সরকার। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন মোদি সরকারের কাছে অনুমতি নিয়ে রাজ্য সরকার বাজার থেকে আরও বেশি পরিমাণে ঋণ নেওয়ার রাস্তা খুলে রাখতে চাইছে। সেই লক্ষ্যেই মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভায় এফআরবিএম আইনের সংশোধনী বিল উত্থাপন করে মমতার সরকার। সেখানে বিলটি নিয়ে আলোচনাও হয়। তারপর তা পাশ করে পাঠানো হচ্ছে রাজ্যপালের কাছে তাঁর সাক্ষরের জন্য। তিনি সই করলেই তা কার্যত আইনে পরিণত হবে। বাম জমানার একদম শেষদিকে ফিসকাল রেসপনসিবিলিটি অ্যান্ড বাজেট ম্যানেজমেন্ট বা এফআরবিএম আইন তৈরি হয়। ওই আইনে বলা হয়, রাজ্যের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের বা জিএসডিপি’র ৩ শতাংশ অর্থ একটি অর্থবর্ষে ঋণ নেওয়া যাবে।  

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক চলতি অর্থবর্ষে অতিরিক্ত ১ শতাংশ, অর্থাৎ ৪ শতাংশ অর্থ ঋণ নেওয়ার অনুমতি রাজ্যকে দিয়েছে। এর মধ্যে ০.৫ শতাংশ অতিরিক্ত ঋণ নেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে সাফল্যের জন্য। তাই এবছর রাজ্য সরকার বাজার থেকে সর্বোচ্চ ৬১ হাজার ৮৮৯ কোটি টাকা ঋণ সংগ্রহ করতে পারবে। যদিও চলতি অর্থবর্ষে রাজ্য সরকার প্রথম ৬ মাসেই ১৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে নিয়েছে। সারা বছর ধরলে তা ৩২ হাজার কোটির আশেপাশে থাকবে। কিন্তু সেই হিসাবের পরেও রাজ্য সরকার আরও ২৯ হাজার কোটি টাকা চলতি অর্থবর্ষে ঋণ নিতে পারবে। কার্যত বিল পাশ করে সেই ক্ষমতাকেই ৭০ হাজার কোটি টাকা করে নেওয়া হল।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বিধাননগরের ময়লা ফেলার জন্য পাথরঘাটায় নতুন ডাম্পিং স্টেশন হবে, ঘোষণা ফিরহাদের

দিঘায় মমতার উদ্যোগে জগন্নাথ মন্দির তৈরিকে স্বাগত অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার

‘এক দেশ, এক ভোট মানব না’ ফের হুঙ্কার মমতার

পাইকারি বাজারে আলুর দাম কমলেও মানিকতলা বাজারে বেশি দামে বিকোচ্ছে কাঁচামাল

ফের সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গেল ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি, নতুন তারিখ কবে?

লাগামছাড়া গতিতে ‘রেড অ্যালার্ট’, রেষারেষি রুখতে ‘চাবিকাঠি’ থাকছে পরিবহণ দফতরের হাতে

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর