নিজস্ব প্রতিনিধি: তৃণমূল কংগ্রেসের শহীদ স্মরণ অনুষ্ঠান মঞ্চে কি জোড়াফুল শিবিরে যোগ দেবেন ইন্দিরা গান্ধীর পৌত্র এবং পুত্রবধূ? বৃহস্পতিবার ধর্মতলায় ২১ জুলাইয়ের কর্মসূচির দিন মেনকা গান্ধী এবং বরুণ গান্ধীর কলকাতা আগমন ঘিরে শুরু হয়েছে এই জল্পনা।
বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতায় এসে পৌঁছেছেন মেনকা গান্ধী এবং বরুণ গান্ধী। রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের মেগা ইভেন্ট ২১ জুলাইয়ের দিন তাঁদের কলকাতায় আসা নিছক কাকতালীয় না কি, ব্যক্তিগত কাজে এসেছেন তাঁরা, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছেন মা এবং পুত্র এদিন জোড়াফুল শিবিরের শহীদ স্মরণ মঞ্চে তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন। যদিও মেনকা গান্ধী এবং বরুণ গান্ধী কী কারণে বৃহস্পতিবার কলকাতায় এসেছেন, সে বিষয়ে তাঁরা স্পষ্ট করে কিছু জানাননি। তবে এদিন সবাইকে চমকে দিয়ে মা ও পুত্র যদি ধর্মতলায় শহীদ স্মরণ সমাবেশের মঞ্চে হাজির হয়ে তৃণমূলে যোগ দেন তবে তা রাজ্য তথা দেশের রাজনীতিতে তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
উল্লেখ্য বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে সংগঠন বিস্তারের জন্য ইতিমধ্যে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। সর্বভারতীয় স্তরে জোড়াফুল শিবির ক্রমশ বিজেপি বিরোধিতায় প্রধান গোষ্ঠী হিসেবে নিজেদের তুলে ধরার চেষ্টার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। বৃহস্পতিবার ধর্মতলায় সমাবেশ মঞ্চ থেকে তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২৪ এর লোকসভা নির্বাচন নিয়ে দলীয় নেতা, কর্মী ও সমর্থকদের গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিতে পারেন। সেই আবহে যদি মেনকা গান্ধী এবং বরুণ গান্ধী তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন তাহলে বিজেপিকে কোণঠাসা করার পাশাপাশি সর্বভারতীয় স্তরের রাজনীতিতে তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা দেওয়া যাবে বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। প্রসঙ্গত গান্ধী পরিবারের সদস্য বরুণ গান্ধী একদা বঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব সামলেছেন। এদিন তাঁর তৃণমূলে যোগ দেওয়ার গুঞ্জন ছড়াতে বিষয়টির ওপর সতর্ক নজর রেখেছে গেরুয়া শিবির।