নিজস্ব প্রতিনিধি: এখন গ্রীষ্মের প্রখরতা চলছে। শহরে জলের কিছুটা ঘাটতি রয়েছে। যদিও ইতিমধ্যেই ওয়াটার ট্যাঙ্ক পাঠিয়ে বিভিন্ন ওয়ার্ডে জলের ঘাটতি সামাল দেওয়া হচ্ছে বলে শুক্রবার জানালেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম(Mayor Firhad Hakim)।শহর কলকাতায় যে সমস্ত বেআইনি কন্সট্রাকশন বা অবৈধ নির্মাণ কার্য নজরে আসছে সেগুলির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই একাধিক চিহ্নিত হওয়া অবৈধ নির্মাণ ভাঙার কাজ করা হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে পারিবারিক বিবাদের জেরে নির্মাণ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে জটিলতা নজরে আসছে। ডিজি বিল্ডিংকে(DG Building) এ বিষয়ে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান মেয়র।
আসছে বর্ষা। বর্ষার মধ্যে যাতে শহরবাসীকে জল যন্ত্রণা ভোগ করতে না হয়, সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের সেচ দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে বসে জয়েন্ট মেকানিজম গঠন করা হয়েছে। শহরের ক্যানাল গুলিতে কতটা সংস্কার কাজ করা হয়েছে, ড্রেজিং কতটা করা হয়েছে, এর জন্য ক্যানাল গুলিতে নব্যতা কতটা বৃদ্ধি পেয়েছে,তা খতিয়ে দেখা হয়েছে। সংস্কারের কাজ যথেষ্ট ভালো হয়েছে এবং এর সুফল মিলবে আসন্ন বর্ষার মরশুমে দাবি ফিরহাদের। এবার থেকে আর শহর কলকাতার বিভিন্ন অংশে জল বেশিক্ষণ জমে থাকবে না, বলে শহরবাসীকে আশ্বস্ত করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। অতিরিক্ত সতর্কতা হিসেবে বর্ষার মৌসুমের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কলকাতা পুরসভার কন্ট্রোলরুমে একজন করে সেচ দপ্তরের আধিকারিক মনিটরিং করার জন্য থাকবেন। পুরসভার কন্ট্রোলরুমে বসে বৃষ্টির পরিমাণ অনুযায়ী শহরের জমা জল এর নিষ্কাশন এবং লক গেট(Lock Gate) গুলি খোলা ও নির্দিষ্ট সময় বন্ধ করার কাজে পর্যবেক্ষণ চালাবেন সংশ্লিষ্ট ওই আধিকারিক বলে জানালেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
শহর কলকাতার পার্কিং লট গুলির আধুনিকীকরণের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করা হয়েছে। পার্কিং ব্যবস্থা পরিচালনা করার জন্য পার্কিং সংস্থাগুলির টেন্ডার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই ই – টেন্ডারিং এর মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কলকাতার পার্কিং ব্যবস্থা খতিয়ে দেখে সে সম্পর্কে এক্সপার্ট মতামত দেওয়ার কাজ প্রায় শেষ হওয়ার মুখে বলে জানান মেয়র ফিরহাদ হাকিম।