নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামী সোমবার কলকাতা ও রাজ্যের সব জেলার পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসন্ন দুর্গা পুজো নিয়ে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এই বৈঠক থেকে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিতে পারেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। দুর্গা পুজোকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে রাজ্যের প্রশাসনিক মহলে শুরু হয়েছে তৎপরতা। তবে সোমবারের বৈঠকে কলকাতার পুজো কমিটিগুলির প্রতিনিধিরা সশরীরে হাজির থাকলেও জেলার পুজো কমিটিগুলি এই বৈঠকে ভার্চুয়ালি যোগ দেবে।
আর দেড় মাসও বাকি নেই দুর্গা পুজোর। শুরু হয়েছ গিয়েছে পুজো কমিটির তরফে প্রস্তুতি। প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে প্রশাসনিক স্তরেও। সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বার্তা দেন সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে পুজো কমিটিগুলির উদ্যোক্তারা। প্রসঙ্গত কলকাতা ও জেলার সব পুজো কমিটিগুলিকে ভালোভাবে পুজো আয়োজন করার জন্য আর্থিক অনুদান দেন মুখ্যমন্ত্রী। পুজো কমিটিগুলিকে ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর আর্থিক সহায়তার ফলে জেলার পুজো কমিটিগুলি অর্থাভাব থেকে রেহাই পেয়েছে।
গত দু বছর কোভিড পরিস্থিতির কারণে দুর্গা পুজো সমারোহে পালিত হয়নি রাজ্যে। মুখ্যমন্ত্রী আগেই ঘোষণা করেছিলেন এ বছর দুর্গা পুজো জাঁকজমক করে উদযাপন করা হবে। তাই এদিনের বৈঠক ঘিরে পুজো কমিটিগুলির মধ্যে বাড়তি উদ্দীপনা কাজ করছে। এদিনের বৈঠকে জেলার পুজো কমিটিগুলি ভার্চুয়ালি যোগ দেবে। বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন কলকাতা পুলিশের শীর্ষ কর্তারাও। জেলার শীর্ষ পুলিশ কর্তারা এবং জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরাও মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে।
অন্যদিকে বাংলার দুর্গা পুজো ইতিমধ্যে স্বীকৃতি পেয়েছে ইউনেস্কোর। ইউনেস্কোর সেই স্বীকৃতির পর এবার পুজো নিয়ে বড় পরিকল্পনায় নামছে রাজ্য সরকার। এ বার দুর্গা পুজোকে সামনে রেখে আগেই মেগা মিছিল করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতার তিনটি প্রান্ত থেকে ওই মিছিল শুরু হয়ে পৌঁছবে ধর্মতলায়। মিছিলে থাকবে দুর্গাপুজোর মেলবন্ধন ও ঐতিহ্যের মডেল। কার্যত এই শোভাযাত্রা পুজোর আগেই শহরের বুকে এক সুবৃহৎ কার্ণিভালের(Carnival) চেহারা নেবে। উত্তর কলকাতা থেকে থেকে দক্ষিণ কলকাতার একাধিক ক্লাব সেই মিছিলে সামিল থাকবে। আগামী ১ সেপ্টেম্বর কলকাতায় এই মিছিল হবে।