এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

মমতার দেখানো পথকেই স্বীকৃতি মোদি সরকারের, এল পুরস্কার

কৌশিক দে সরকার : কথায় কথায় বাংলাকে(Bengal) অপমান। কথায় কথায় বাংলাকে বঞ্চনা। কথায় কথায় বাংলাকে ভাতে মারার ষড়যন্ত্র। কিন্তু তারপরেও বাংলার সাফল্যকে কুর্ণিশ জানাতে বাধ্য হচ্ছে নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi)র সরকার। আরও বলা ভাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) দেখানো পথকেই সাফল্যের সূচক ধরে বার বার পুরস্কৃত করছে মোদি সরকার(Modi Government)। আগেও করেছে, এখনও করছে। বাংলার ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্পের সাফল্যকেই এবার স্বীকৃতি দিন কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের জলশক্তি মন্ত্রকের তরফে এক আধটা নয়, ৩ তিনটে পুরস্কার তুলে দেওয়া হল মমতার বাংলার হাতে। রাজ্যের ক্ষুদ্র শিল্প উন্নয়ন নিগমকে রাজ্য PSU – Leadership Award, PSU – Imarging Technology এবং PSU – Nation Building এই তিনটি পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। West Bengal Small Industry Development Corporation Limited বা WBSIDCL-এর তরফে জানানো হয়েছে, বাংলার ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্পের ব্যাপক উন্নয়নের পরিপ্রেক্ষিতে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন বছরে দুইবার করে বাড়বে মাইনে, নির্দেশ রাজ্যের

রাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নতির স্বার্থে ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্পের ভূমিকা অনস্বীকার্য। বাম জমানাতেই কার্যত এই শিল্পের সূচনা ঘটেছিল বাংলার বুকে। কিন্তু বামফ্রন্ট সরকার এই শিল্পের উন্নতিসাধনে সেভাবে কিছুই করেনি। যার জন্য দেশের মধ্যে এই ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্পের ক্ষেত্রে বাংলা পিছনের সারিতেই ছিল। কিন্তু ছবিটা আমূল বদলাতে থাকা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে। তিনিই এই শিল্পে গুরুত্ব দেওয়ার কথা প্রথম থেকেই বলে এসেছেন। কেননা শুধু মমতাই নয়, দেশের তাবড় তাবড় অর্থনীতিবিদদের দাবি, ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্পের মাধ্যমেই এখন সব থেকে বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। সব থেকে বেশি সংখ্যক মানুষ স্বনির্ভর হয়ে উঠছেন এই শিল্পের মাধ্যমেই। বৃহৎ শিল্প এখন আর খুব বেশি কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারছে না। কেননা সেখানে অত্যাধুনিক যন্ত্রের উপস্থিতি মানুষের কাজের জায়গা কেড়ে নিয়েছে এবং আগামী তা আরও কাড়বে। তাই দেশজুড়েই দেখা যাচ্ছে কোনও কোনও বৃহৎ শিল্পের ক্ষেত্রে হাজার হাজার কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ হলেও সেখানে সেভাবে কর্মসংস্থানই তৈরি হয়নি। হিসাব বলছে বৃহৎ শিল্পের ক্ষেত্রে ১ হাজার টাকা বিনিয়োগে ১০০ জন কাজ পাচ্ছেন, কিন্তু ক্ষুদ্র-মাঝারি ও কুটির শিল্পের ক্ষেত্রেই সেটা ১ লক্ষের কাছাকাছি কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করছে।

আরও পড়ুন মমতার দেখানো পথে হেঁটে রাজ্যের আয় বেড়েছে ৮ হাজার কোটি

বাংলায় বামজমানায় কৃষিজমির ক্ষেত্রে ভাগচাষী ও বর্গাদারদের আধিপত্য কায়েম হয়েছে। তাঁরা জমির ও ফসলের অধিকার পেয়েছেন। এখানে ছোট ছোট জমির মালিক বেশি। তাই বৃহৎ শিল্পের ক্ষেত্রে জমি অধিগ্রহণ করতে গেলেই হাত পোড়ার আশঙ্কা রয়েছে পদে পদে। তাছাড়া এর জন্য জমির সঙ্গে জড়িত পরিবারগুলি কতখানি লাভবান হবে তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। কত কর্মসংস্থান হবে তা নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। তাই সিঙ্গুরের জমি আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলার মসনদে উঠে আসা মমতা জমি অধিগ্রহণকে দূরে সরিয়ে রেখে জমির অধিকার তুলে দিয়েছেন ও দিচ্ছেন কৃষকদের হাতে, আমজনতার হাতে পাট্টা প্রদানের মাধ্যমে। একই সঙ্গে কর্মসংস্থানের জন্য জোর দিয়েছেন রাজ্যের জেলায় জেলায় ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্পের প্রসারের জন্য। তার জন্য ছোট ছোট শিল্প পার্ক গড়ে তোলার দিকেও এগিয়েছেন। তার জেরেই বাংলা এখন দেশের মধ্যে ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্পে প্রথম স্থানে উঠে এসেছে।

আরও পড়ুন মমতার অপেক্ষায় প্রহর গুণছে শিলিগুড়ি

মমতার এই নীতির সব থেকে বড় বিরোধী জমি হাঙরের দল সিপিআই(এম)। তাঁরা নিত্যদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি মমতাকে গালিগালাজ করেন এই নীতির জন্য। বিজেপির নেতারাও করেন, কংগ্রেসের নেতারাও করেন। কিন্তু কিছুদিন আগেই খোদ দেশের প্রধানমন্ত্রীকেও মানতে হয়েছে দেশে কর্মসংস্থান বাড়াতে গেলে ক্ষুদ্র, মাহারি ও কুটির শিল্পের ওপর জোর দিতেই হবে। কেননা তাঁর শিল্পপতি বন্ধুরা আর দেশে চাকরির বাজার তৈরি করতে পারছেন না। মোদির সেই স্বীকারোক্তির পরে পরেই এবার তাঁর সরকার বাংলার ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্পকে স্বীকৃতি দিল পুরস্কারের মাধ্যবে। জয় হল সেই বাংলার অগ্নিকন্যার যিনি কৃষকদের জমির অধিকারে টানা ২৬ দিন অনশন আন্দোলন করেছিলেন। জয় হল তাঁর নীতির। জয় হল বাংলার। বাংলার গন্ডমূর্খ বিজেপি নেতারা এবার কী বলবেন!  

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

শুক্রবার রাতে নির্বাচনী জনসভায় যোগ দিতে কলকাতায় এলেন নরেন্দ্র মোদি

রাজভবনের পিস রুম মহিলাদের পিস হেভেনে পরিণত হয়েছে, কটাক্ষ চন্দ্রিমার

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ রাজভবনের মহিলা কর্মীর

রবিবার থেকে জেলায় জেলায় শুরু হবে বৃষ্টি, সোমবার ভিজতে পারে কলকাতা

তৃণমূলের তারকা প্রচারের তালিকা থেকে বাদ পড়লেন কুণাল

প্রথম চেষ্টাতেই মাধ্যমিক পাশ করে চমকে দিলেন ফুটপাতের প্রিয়া

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর