নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী (CM) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (MAMATA BANERJEE) নখদর্পণে সব জেলাই। পুরুলিয়ার প্রশাসনিক বৈঠকে তা আরও একবার প্রমাণ করেছিলেন তিনি। সরাসরি বলেছিলেন, কী ভাবে দিনের পর দিন সাধারণ মানুষকে ঘোরাচ্ছে বিএলআরও (BLRO) অফিস। বলেছিলেন তাঁর কাছে খবর আছে, ২ টো দোকান এই দালাল ব্যবস্থার কেন্দ্র হয়ে উঠছে। কড়া বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তারপরেই নবান্ন থেকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই আধিকারিকদের রদবদল হয়েছে রাজ্য জুড়ে।
ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরকে কার্যত ‘সোজা’ করতে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে নবান্ন (NABANNA)। ২ দিন আগেই জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। বিশেষ আলোচনা হয়েছে বিএলআরওদের কাজ নিয়ে। ইতিমধ্যেই ৪ জেলাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বলা হয়েছে, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা। সূত্রের খবর সেই তালিকায় রয়েছে, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি, জলপাইগুড়ি। এই ৪ জেলাতেই ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের কাজ নিয়ে অভিযোগ আছে বলে জানা গিয়েছে। এই সব জেলার ভূমি সংস্কার দফতরের কাজের বিস্তারিত তথ্য তলব করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, নবান্নের তরফে বলা হয়েছে, এই সব জেলার বিএলআরওদের কাজ ঠিক্টহাক পদ্ধতিতে হচ্ছে না। তাঁদের নিজেদের কাজ নিয়ে যথেষ্ট ওয়াকিবহল থাকতে হবে। একাংশের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের কাজ সরল করে দিয়েছেন তবে তা একাংশের আধিকারিক ও কর্মীদের গ্রহঠেলা মানসিকতার জন্য বাস্তবায়িত হচ্ছে না। তাঁদের দাবি, এই দফতরে রাজস্ব আসে বিপুল তবে তা একাংশের আত্মসাতের জন্য শেষ হয়ে যায়। একাংশের দাবি, রাজস্ব না ঢোকা এবং কয়েকজনের ভুল কাজের জন্য সরকারের ক্ষতি হয়। জনমানসে ভুল প্রভাব পড়ে। তাই কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে নবান্ন। সূত্রের খবর, সাধারণ মানুষের জন্যই নবান্ন এই পদক্ষেপ নিয়েছে।