এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের দ্বারস্থ নরেন্দ্র মোদির সরকার

নিজস্ব প্রতিনিধি: শুনলে কিছুটা অবাকই হতে হবে, কিন্তু এটাই চূড়ান্ত বাস্তব। আমজনতার কাছে পৌঁছাতে শেষে কিনা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকারের দ্বারস্থ হল কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) সরকার। যে সরকারের প্রাণভোমরা বিজেপি। সেই বিজেপি যারা আগামী ৬ মাসের মধ্যে বাংলায়(Bengal) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার পড়ে যাবে বলে দাবি করছে প্রকাশ্যে। রাজ্যের বাসিন্দাদের কাছ থেকে তাঁদের অভাব-অভিযোগ শুনে তা দ্রুত নিষ্পত্তি করার জন্য অনেক আগেই সিএমও গ্রিভান্স(CMO Grievance) সেল চালু করেছে রাজ্য সরকার। এবার তার সঙ্গে কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের সংযুক্তিকরণ চাইল মোদি সরকার। এভাবে প্রশাসনকে মানুষের দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে চায় কেন্দ্র(Central Government)। নবান্ন সূত্রে খবর, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে রাজ্যকে দেওয়া একটি চিঠিতে সংযুক্তিকরণের এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

মমতার চালু করা ‘দুয়ারে সরকার’ ইতিমধ্যেই নজর কেড়েছে দেশের আমজনতার পাশাপাশি নানা বিশেষজ্ঞ মহলের। মমতার চালু করা এই কর্মসূচির কার্যত ভূয়সী প্রশংসা করেছেন সেই সব বিশেষজ্ঞরা। কর্মসূচির প্রশংসা এসেছে বিদেশের দরবার থেকেও। কিন্তু দুর্ভাগ্য গোটা দেশে এই ধরনের কোনও কর্মসূচি চালু করার পথে হাঁটা দেয়নি মোদি সরকার। ফলে আমজনতার সঙ্গে মোদি সরকারের সরাসরি সংযোগসাধনের কোনও রাস্তা নেই। এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতেই এবার বাংলার মানুষদের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের দ্বারস্থ হয়েছে মোদি সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চালু করা সিএমও গ্রিভান্স সেল মানুষের অভাব অভিযোগ জেনে তা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরেই সুখ্যাতি ও প্রশংসা পেয়ে চলেছে। এখনও পর্যন্ত সেখানে জমা পড়া অভিযোগের সংখ্যা প্রায় ১১ লক্ষ ২৭ হাজার ৭৬৩টি। এর মধ্যে ১১ লক্ষ ২৫ হাজার ৯৯৯টি অভিযোগের নিষ্পত্তি হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। সমস্যার নিরিখে সমাধানের হার ৯৯.৮৪ শতাংশ। এই পরিসংখ্যানই নজর কেড়েছে মোদি সরকারের।

এর পরেই এবার কেন্দ্রের তরফে মোদি সরকার সাহায্য চাইল বাংলার রাজ্য সরকারের। কেন্দ্রীয় সরকারের ‘সেন্ট্রালাইজড পাবলিক গ্রিভান্স রিড্রেস অ্যান্ড মনিটরিং সিস্টেম’ সংযুক্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে সিএমও গ্রিভান্স সেলের সঙ্গে। এই প্রসঙ্গে কেন্দ্র সরকার রাজ্যকে যে চিঠি পাঠিয়েছে তার কিছুটা অংশ নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, এই সংযুক্তিকরণের মাধ্যমে প্রশাসনকে মানুষের দুয়ারে নিয়ে যেতে উদ্যোগী হতে চাইছে কেন্দ্র। ‘এক দেশ এক পোর্টাল’ নীতিকে আরও সুদৃঢ় ভাবে তুলে ধরা যাবে এই নীতির জন্য। দেশের মানুষের সমস্যা, অভাব-অভিযোগগুলি জেনে সমাধান করা অনেক সহজ হবে। যদিও নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সংযুক্তিকরণের প্রস্তাবে সায় না দেওয়ার সম্ভাবনাই বেশি রাজ্যের তরফে। তবে এই বিষয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই সংযুক্তিকরণ কী শুধুই পরিষেবা প্রদানের লক্ষ্যে চেয়েছে মোদি সরকার নাকি এর পিছনে রাজনীতির অঙ্কও আছে? রাজনীতির বিশেষজ্ঞদের ধারনা, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। দেশজুড়ে নানা কারণে মোদি সরকার ও বিজেপির জনপ্রিয়তা নীচের দিকে নেমে চলেছে। এমনকি বাংলার ১৮টি আসনও যে আর বিজেপি ধরে রাখতে পারবে না সেটাও ক্রমশ পরিষ্কার হচ্ছে। এই অবস্থায় মোদি সরকার চাইছে মমতার সরকারের সাফল্যে ভাগ বসিয়ে কিছুটা হলেও ভেসে থাকতে। আর সেটা বুঝেই মমতার সরকারও এখন কেন্দ্রের প্রস্তাব নিয়ে তড়িঘড়ি কোনও সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে না।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

৩ মাসের ভোট গেরোয় নতুন নাম নথিভুক্তকরণ বন্ধ স্বাস্থ্যসাথীতে, বিপাকে বহু পরিবার

ভোট বড় দায়, বামেদের মুখে ঝামা ঘষে মমতার লক্ষ্মীর ভান্ডারের পাশে বৃন্দা

শ্লীলতাহানি কাণ্ডে রাজভবনে ৩ কর্মীর বিরুদ্ধে দায়ের এফআইআর

কেন এত সময় লাগছে? মানিকতলা উপনির্বাচন নিয়ে কমিশনকে ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের

আচার্য জগদীশ চন্দ্র বোস রোড থেকে উদ্ধার ১২ লক্ষ টাকা ,গ্রেফতার ২

অভিজিতের প্রার্থী পদ বাতিলের দাবি শশী পাঁজার

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর