নিজস্ব প্রতিনিধি: জেল(Correctional Home) থেকে ছাড়া পেয়ে সোমবার রাজ্য বিধানসভায়(West Bengal State Assembly) প্রথমবারের জন্য পা রাখলেন ধর্মতলায় ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট(ISF) তথা ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি(Nowshad Siddiqui)। বিধানসভায় পৌঁছে শাসক এবং বিরোধী বিধায়কদের সঙ্গে সৌজন্যও বিনিময় করতে দেখা যায় তাঁকে। কুশল বিনিময় করলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Biman Banerjee) সঙ্গেও। কিন্তু তার মাঝেই সকলের নজর কেড়ে নেয় রাজ্যের মন্ত্রী তথা শাসকদলের হেভিওয়েট নেতা অরূপ বিশ্বাসের(Arup Bishwash) সঙ্গে দীর্ঘক্ষণের বৈঠক। যদিও সেই বৈঠক নিয়ে বিশেষ রা কাড়েননি মন্ত্রী নিজে বা নওশাদ। তাই তাঁদের মধ্যে বৈঠকে ঠিক কী আলোচনা হয়েছে তা জানা যায়নি।
আরও পড়ুন রাজ্যের কৃষকদের বিনামূল্যে Drone Spray Machine দেবে মমতার সরকার
উল্লেখ্য, গত ২১ জানুয়ারি ধর্মতলায় ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট বা ISF’র প্রতিষ্ঠা দিবসের কর্মসূচিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে নওশাদের দলের কর্মীদের। গ্রেফতার হন নওশাদ-সহ ISF’র বহু কর্মী ও সমর্থকেরা। ৪২ দিন বন্দি থাকার পর গত শনিবার সকালে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে মুক্তি পান নওশাদ নিজে। নওশাদ জেল হেফাজতে থাকার সময়ই ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয় বিধানসভার বাজেট অধিবেশন। সেই অধিবেশন যোগ দিতে চেয়ে আইনজীবী মারফত আদালতে আবেদনও করেছিলেন নওশাদ। কিন্তু মুক্তি না মেলায় বাজেট অধিবেশনে যোগ দিতে পারেননি তিনি। তাই সোমবার বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বের প্রথম দিনে নওশাদের আসার দিকে বিশেষ নজর ছিল সব পক্ষেরই। এদিন তিনি বিধানসভায় পা রাখতেই তাঁকে অভিনন্দন জানাতে এগিয়ে যান বিজেপির বিধায়কেরা।
আরও পড়ুন ২৮ বছর পর পেনশনের আওতায় রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের কর্মীরা
সোমবার বাজেট অধিবেশনের প্রথমার্ধে বিশেষ কোনও ব্যস্ততা নেই। মূল অধিবেশন শুরু হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে। কিন্তু সোমবার সকাল সকাল বিধানসভায় পৌঁছে যান নওশাদ। ১১টা নাগাদ বিধানসভায় পৌঁছে তাঁকে বিভিন্ন বিধায়ক-মন্ত্রীদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করতে দেখা যায়। এর পর স্পিকারের ঘরেও তিনি যান। সেখান থেকে বেরিয়ে এসে বেশ কয়েক জন বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলার পর, তাঁদের পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান নওশাদ। স্পিকারের সঙ্গে সাক্ষাতের পর নওশাদ বলেন, ‘এত দিন পর আবার বিধানসভায় আসতে পেরে আমার খুব ভাল লাগছে। ৪২ দিন ধরে বন্দি ছিলাম। দীর্ঘ লড়াই করেছি। স্পিকারের কাছে আমি কৃতজ্ঞ যে তিনি আমার পাশে থেকেছেন। বিধানসভায় উনি আমার অভিভাবক। আশা করি আজকের অধিবেশনে শেষ পর্যন্ত থাকব। প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে থাকার সময় আমি জেলের মধ্যে অনেক অব্যবস্থা দেখেছি। আমি সুযোগ পেলে সে কথা বিধানসভায় তুলে ধরব যাতে আবাসিকরা একটু ভাল ভাবে থাকতে পারেন।’