নিজস্ব প্রতিনিধি: তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছিল ২৪ ঘন্টা আগেই। শনি সকালে গ্রেফতার হলেন ঘটনার মূল মাথা পি কে হালদার(P K Halder)। বাংলাদেশে বেসরকারি এনআরবি গ্লোবাল ব্যাঙ্ক(N R B Global Bank) খুলে ১০ হাজার কোটি টাকা লুঠে ভারতে পালিয়ে এসে এ রাজ্যের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অশোকনগরে(Ashoknagar) ঘাঁটি গেড়েছিলেন ওই ব্যাঙ্কের ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রশান্ত কুমার হালদার বা পি কে হালদার। কিন্তু শনিবার সকালে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট(ED) বা ইডি’র হাতে গ্রেফতার হন। কেননা গ্লোবাল ব্যাঙ্কের জালিয়াতির ঘটনায় যেমন বাংলাদেশ সরকারের তরফে ভারত সরকারকে জানানো হয়েছিল তেমনি বাংলাদেশের(Bangladesh) গোয়েন্দা সংস্থা ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটও এই ঘটনার তদন্ত করতে ভারতে এসে হাজির হয়েছিল। শুক্রবার এই গোয়েন্দা সংস্থা এবং ইডি একযোগে এপার বাংলার ৪টি জেলায় মোট ৯টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করে।
শুক্রবারের তল্লাশি অভিযানে ওই ৯টি জায়গা থেকে ইডি বিপুল সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছে। তাঁদের হাতে এসেছে জমির দলিলসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক নথিও। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে শুধু এপার বাংলাতেই ২০ থেকে ২২টি বাড়ি আছে। এছাড়াও দিল্লি, মুম্বই, অহমদাবাদ, বেঙ্গালুরু শহরেও তার একাধিক সম্পত্তি রয়েছে। অশোকনগরে পি কে হালদারের আয়কর সংক্রান্ত আইনজীবী ছিলেন তাঁরই প্রতিবেশী সুকুমার মৃধা। তাঁকেও গতকাল গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থাটি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সুকুমাকে তারা মাছ ব্যবসায়ী হিসেবে চিনতেন। পিকে হালদার ও সুকুমার মৃধা অশোকনগরে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী। ইডি ধারণা করছে, দীর্ঘদিন ধরে এই দুইজনের যোগসাজশে এনআরবির বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এই দুইজনের সঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার একাধিক বিজেপি নেতা, মন্ত্রী, সাংসদদের ঘনিষ্ঠতা ছিল। তাই এই ঘটনার শিকড় ঠিক কতদূর অবধি ছড়িয়ে আছে তা নিয়ে ভাবছেন ইডি’র আধিকারিকেরাও।