নিজস্ব প্রতিনিধি: কলকাতা(Kolkata) সংলগ্ন Newtown’র বুকে শুরু হচ্ছে ড্রোনের(Drone) মাধ্যমে Online Delivery। বাংলায় এমন উদ্যোগ এই প্রথম। দিল্লির একটি সংস্থার মাধ্যমে মিলবে এই পরিষেবা। তারা ইতিমধ্যেই এই পরিষেবা চালুর জন্য Newtown Kolkata Development Authority বা NKDA’র কাছে প্রস্তাব পেশ করেছে। বিষয়টি দেখে রাজিও হয়েছে এই উন্নয়ন সংস্থা। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২-৩ মাসের মধ্যেই এই পরিষেবা পেতে চলেছেন নিউটাউনের বাসিন্দারা। বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে ড্রোনের মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের Online Delivery সার্ভিস চালু আছে। এই পরিষেবা এদেশেও চালু হয়েছে নয়ডা, গুরুগ্রাম এবং হরিয়ানায়। তবে এটি বাংলায় এখনও চালু হয়নি। এবার এমন অত্যাধুনিক পরিষেবার জন্য বাংলার মধ্যে নিউটাউনকেই প্রথম বেছে নেওয়া হয়েছে।
দিল্লির যে সংস্থা এই পরিষেবা দেবে তাঁরা ইতিমধ্যেই কলকাতায় এসে প্রকল্পের একটি Presentation দিয়ে গিয়েছে। সেখানে NKDA’র চেয়ারম্যান দেবাশিস সেনও ছিলেন। সমস্ত বিষয় দেখে, দেবাশিসবাবু তাঁর সম্মতি জানিয়েছেন। কারণ, ড্রোনের মাধ্যমে একদিকে যেমন সহজে এবং দ্রুত পরিষেবা পাওয়া সম্ভব হবে তেমনি Smart City হিসেবে ড্রোন পরিষেবার সংযোজন নিঃসন্দেহে নিউটাউনের গুরুত্ব বৃদ্ধি করবে। পরিষেবা দেওয়ার জন্য ওই সংস্থা নিজেদের ড্রোনই ব্যবহার করবে। তাদের ড্রোনগুলি ৫০০ গ্রাম থেকে ৫০ কেজি পর্যন্ত ওজনের প্যাকেট সরবরাহ করতে পারবে। ওই সংস্থা ইতিমধ্যেই নিউটাউনের ১০ থেকে ১২টি হাউজিং সোসাইটির সঙ্গে চুক্তির প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
Newtown’র বুকে এই ড্রোন পরিষেবা চালুর জন্য পরিকাঠামো গড়ে তোলারও কাজ চলছে। প্যাকেট ড্রপ করার জন্য স্কাইপড তৈরি করা হচ্ছে। ড্রোনের মাধ্যমে ডেলিভারির জন্য হেলথ কেয়ার, ই-কমার্স, এগ্রি কমোডিটি প্রভৃতি সাইটের সঙ্গে চুক্তি করার কাজও শুরু হতে চলেছে। আরও কী কী Logistics Support দরকার, পুরো প্রক্রিয়া অপারেট হবে কীভাবে, কী পরিষেবা থাকবে সেসব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্বাস্থ্য পরিষেবা দ্রুত প্রদানের জন্য অনেক সময় গ্রিন করিডর তৈরি করা জরুরি হয়ে পড়ে। পরবর্তী দফায় সেটি ড্রোনের মাধ্যমেই করা সম্ভব কি না, শুরু হয়েছে সেই ভাবনাচিন্তাও। নিউটাউনের পর, দ্বিতীয় দফায় সল্টলেক এবং কলকাতার অন্যান্য অংশেও ড্রোনের মাধ্যমে এই ডেলিভারি পরিষেবা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।