নিজস্ব প্রতিনিধি: বাড়তে চলেছে কলকাতা পুরনিগমের(KMC) এলাকা। ই এম বাইপাস সংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্ব কলকাতার কিছু পঞ্চায়েত অঞ্চল এবং রাজপুর সোনারপুর পুরসভার(Rajpur Sonarpur Municipality) একটি ওয়ার্ড কলকাতা পুরনিগমের আওতায় নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এব্যাপারে তৎপরতা শুরু হয়েছে প্রশাসনিক মহলে। রাজ্য সরকারের কাছে এনিয়ে একটি প্রস্তাব ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে। পুরনিগমের মেয়র পরিষদের গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুসারে শহরের ১০৯, ১১২ ও ১১৩ নম্বর ওয়ার্ড সংলগ্ন একটি পঞ্চায়েত এবং সোনারপুর পুরসভার একটি ওয়ার্ডের কিছুটা অংশ পুরনিগমের আওতায় নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে ১০৯ নম্বর ওয়ার্ড সংলগ্ন খেয়াদহ-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের জগদিপোতা মৌজা ও মুকুন্দপুর মৌজা। বাকি ১১২ এবং ১১৩ নম্বর ওয়ার্ড সংলগ্ন রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার রানিয়া মৌজা কলকাতায় ঢুকবে। এটি ওই পুরসভার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে পড়ে।
২০১২ সালে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ঠাকুরপুকুর মহেশতলা ব্লকের জোকা গ্রাম পঞ্চায়েত অঞ্চল কলকাতা পুর এলাকার অন্তর্ভুক্ত হয়। তৈরি হয় ১৪২, ১৪৩ ও ১৪৪ নম্বর ওয়ার্ড। তার প্রায় ১০ বছর পর ফের নতুন এলাকা শহরের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যদিও এখনও ঠিক হয়নি ওই সব এলাকা কলকাতা পুরনিগমের আওতায় আসার পরে শহরে ওয়ার্ডের সংখ্যা বাড়বে নাকি একই থাকবে। কলকাতার সংলগ্ন এইসব অঞ্চলে অল্প-বিস্তর নগরায়ন হয়েছে। কিন্তু পর্যাপ্ত বা আদর্শ পুর পরিষেবা নাগরিকরা পাচ্ছেন না। তাই এইসব অঞ্চলকে যদি কলকাতার সঙ্গে যুক্ত করা হলে সেখানকার বাসিন্দাদের উন্নতমানের পরিষেবা দেওয়া যাবে। একই রাস্তার এক প্রান্তে গ্রাম এবং অপরদিকে পুরনিগম, এই ভেদটা আর থাকবে না। তবে বিষয়টি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। কেননা, এই অন্তর্ভুক্তির বিষয় সংক্রান্ত প্রস্তাব প্রথমে দক্ষিণ ২৪ পরগনার(South 24 Pargana) জেলাশাসকের(District Magistrate) কাছে যাবে। তারপর রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরের অনুমতির প্রয়োজন রয়েছে। সব শেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) অনুমোদনক্রমে এটা বাস্তবায়িত হবে।