নিজস্ব প্রতিনিধি: দুর্গাপুজোর পর বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব কালীপুজো। এই বাংলায় কালীপুজোর সংখ্যা অনেক বেশি, পাশাপাশি অনেক বাড়িতেও কালীপুজো হয়। কিন্তু এই কালীপুজোর আগেই অগ্নিমূল্য বাজারদর। সবজি-ফল-ফুল থেকে শুরু মাছের দাম আকাশ ছোঁয়া। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি চরম বিপাকে পড়েছে পুজো কমিটিগুলিও। পুজোর ফল ও ফুল কিনতে গিয়ে মাথায় হাত পড়ছে পুজো উদ্যোক্তাদের। দুর্গাপুজোর আগে অকাল বর্ষণ এবং লাগাতার পেট্রল-ডিজেলের দামবৃদ্ধির জেরেই শাকসবজি ও ফলের দাম বাড়ছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। সবজি ও ফুল বিক্রেতাদের দাবি, অতি বৃষ্টিতে প্রচুর সবজি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ফলে চাহিদার তুলনায় বাজারে জোগান কম। তার সঙ্গে ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির জেরে গাড়ি ভাড়া বেড়েছে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই তাঁদের দাম বাড়াতে হয়েছে।
এবার দেখে নেওয়া যাক সবজি ও ফলমূলের দাম। বাজারে জ্যোতি আলু বিক্রি হচ্ছে ১৮-২০ টাকা কেজি অপরদিকে চন্দ্রমুখী আলু ২৫-৩০ টাকা কিলো। আদা প্রতি কিলো ১৫০-২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজ ৫০-৬০ টাকা কিলো। কাঁচা লঙ্কা ১৩০-১৫০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, উচ্ছে ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, কুমড়ো ২০-২৫ টাকা, টমেটো ৮০-১০০ টাকা কিলো। লাউ প্রতি কিলো ৩০-৪০ টাকা, গাজর ২৫-৩০ টাকা, পেঁপে প্রতি কিলো ২০-৩০ টাকা। বাঁধাকপি কেজি প্রতি ২৫ টাকা ও ফুলকপি প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকা দরে। প্রায় প্রতিটি সবজির দাম গড়ে ৩০-৪০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। ফলের বাজারও আকাশছোঁয়া।
অপরদিকে মাছের দামও গায়ে কাটা দেওয়ার মতো। গোটা রুই ২০০ টাকা কিলো, কাটা রুই ২৩০-২৫০ টাকা কিলো। কাতলা মাছের দাম ২৪০-২৬০ টাকা কেজি। সবমিলিয়ে নাভিশ্বাস উঠছে আম জনতার। বাজারদর ঠিক রাখতে মাঝেমধ্য়েই কলকাতা ও শহরতলির বাজারগুলিতে হানা দিচ্ছে ইবি। তবুও ব্যবসায়ীদের দাবি, পাইকারি বাজারই অগ্নিমূল্য, তাই তাঁদেরও দাম বাড়াতে হচ্ছে। মূলত পরিবহন খরচ বাড়তেই দাম বাড়ছে শাকসবজি ও মাছের।