এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

‘বুদ্ধ জমি চোর’, দেবাংশুর ধৃষ্টতায় ক্ষুব্ধ বঙ্গবাসী

নিজস্ব প্রতিনিধি: শিলিগুড়িতে বিজয়া সম্মীলনীর মঞ্চে দাঁড়িয়ে সিঙ্গুর(Singur) নিয়ে গতকাল মুখ খোলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। তা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে এখন বেশ আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীকে পাল্টা বিঁধছেন বিরোধীরা। আবার তার বিরোধীদের বিঁধছেন তৃণমূলের নেতারা। কিন্তু এই সবের মাঝে কোথাও কেউ একবারের জন্য রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের(Buddhadeb Bhattacharya) নামে কিছু বলেননি। কিন্তু সব সীমা ছাড়িয়ে বুদ্ধদেববাবুকে ফেসবুক(Facebook) পোস্টে ‘জমি চোর’ কটাক্ষ হেনে বসল তৃণমূলের যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য(Debangshu Bhattacharya)। আর সেই পোস্ট ভাইরাল হতেই দেবাংশুর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বঙ্গবাসীকে। রাজ্যের একজন সৎ, শ্বাশত মুখ্যমন্ত্রীকে এভাবে আক্রমণ যে নিম্নরুচির পরিচয় সেটাই এখন দেবাংশুকে বুঝিয়ে দিচ্ছেন বঙ্গবাসী।

শিলিগুড়িতে গতকাল মুখ্যমন্ত্রী সিঙ্গুর প্রসঙ্গে বলেন, ‘কেউ কেউ বাজে কথা বলে বেড়াচ্ছে। টাটা চাকরি দিচ্ছে আর আমি নাকি টাটাদের তাড়়িয়েছি। কিন্তু টাটাকে আমি তাড়াইনি। সিপিএম তাড়িয়েছে। পলিটিক্যাল কথা এখানে বলতে চাই না। আপনারা লোকের জমি জোর করে দখল করতে গিয়েছিলেন। আমরা জমি ফেরত দিয়েছি। জায়গার তো অভাব নেই। আমি জোর করে কেন জমি নেব? আমরা এত প্রোজেক্ট করেছি। কিন্তু জোর করে জমি তো আমরা নিইনি। আমি পরিষ্কার বলি এখানে যত শিল্পপতি আছে কোনও বৈষম্য নয়। আমরা চাই বাংলায় তাঁরা ইনভেস্ট করুন। এখানে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করুন।’ ঘটনা হচ্ছে গতকাল হোক বা অতীত মমতা কোনওদিনই বুদ্ধদেববাবুকে ‘জমি চোর’ বলে আক্রমণ করেননি। এমনকি তৃণমূলের কোনও নেতাই সেটা করেননি। কিন্তু দেবাংশু সেটাই করে দেখিয়েছে।

আরও পড়ুন মুখ্যমন্ত্রী ভুল কথা বলেননি, সিঙ্গুরকাণ্ডের ব্যাখায় মেয়র

ঠিক কী বলেছে দেবাংশু? বৃহস্পতিবার সকালে ফেসবুকে দেবাংশু লিখেছে, ‘কদিন আগে নয়ডাতে একটি বিরাট বড় অট্টালিকা ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হল। ওই বিল্ডিং ধুলিস্যাৎ হওয়ার জন্য দায়ী কে? সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল নয়ডার ওই বিল্ডিং বেআইনি। এই সুপ্রিম কোর্টই বলছিল সিঙ্গুরের জমি অধিগ্রহণ বেআইনি। ঠিক যে কথা বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমাদের বুদ্ধবাবু জমি চোর ছিলেন। শুনতে খারাপ লাগলেও এটাই সত্য। চুরির জিনিসে কখনওই সফল ইমারত দাঁড়ায় না। চুরির জমিতে ফেঁসে গিয়েছিলেন বেচারা রতন টাটা সাহেব। সাদা ধুতির আড়ালে লুকিয়ে থাকা চোরদের সম্রাটকে তিনি চিনতে পারেননি তখনও। পরবর্তীকালে উনিও বুঝেছিলেন, জমিটা সিপিএম চুরি না করলে আজ টাটার কারখানাটা ওখানেই হত। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে দিয়েছেন.. সেই নুনের জ্বালায় অনেকেই ছটফট করছে। আমরা এনজয় করছি..আরেকবার জেনে রাখুন, দৃপ্ত ভাবে বলছি, সজ্ঞানে বলছি– বুদ্ধ জমি চোর, বুদ্ধ জমি চোর, বুদ্ধ জমি চোর।’

আর এখানেই বঙ্গবাসীর প্রশ্ন, বুদ্ধবাবু কবে কার জমি চুরি করলেন যে গাল টিপলে দুধ বার হওয়া নেতা আজ তাঁকে ‘জমি চোর’ বলছে? এই ধৃষ্টতা সে পেল কোথায়? সাহসটাই বা কোথা থেকে এল? এই নিম্নরুচির পরিচয় দেওয়া নেতারাই কী তৃণমূলের ভবিষ্যৎ? যেখানে বাংলার অগ্নিকন্যা পর্যন্ত আজ অবধি বুদ্ধদেববাবুকে এই কদর্য ভাষায় আক্রমণ করেননি, উল্টে তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেন, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শরীরস্বাস্থ্যের কথা খোঁজ রাখেন সেখানে দেবাংশু কীভাবে বুদ্ধবাবুকে সোস্যাল মিডিয়ায় জমিচোর বলে আক্রমণ করল? মুখ্যমন্ত্রী কী হাত গুটিয়ে বসে থেকে এটা দেখবেন? নাকি দেবাংশুর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবেন? জবাবটা মুখ্যমন্ত্রীকেই দিতে হবে। তৃণমূল কংগ্রেসকেই দিতে হবে।

 

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বিজেপির বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশ দেশ বাঁচাও গণমঞ্চের

বঙ্গে তৃতীয় দফার লোকসভা ভোটে ঘনিয়ে আসছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সর্তকতা জারি

সন্দেশখালি নিয়ে ট্যুইট মমতার, নিশানায় বিজেপি, তোপ অভিষেকেরও

শ্লীলতাহানিকাণ্ডে রাজভবনের কাছ থেকে  সিসিটিভি ফুটেজ চাইল লালবাজার  

RERA’র নির্দেশে সুদে আসলে ২১ লক্ষ টাকা ফেরত পেলেন বৃদ্ধ দম্পতি

এপ্রিলে মমতার বাংলায় GST আদায় বাড়ল ১৩ শতাংশ

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর