এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

জেলা ভাগের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রীর সফর শেষে

নিজস্ব প্রতিনিধি: নদিয়া(Nadia) জেলায় যে দুটি উৎসব সব থেকে বেশি গুরুত্ব পায় তার অন্যতম হল কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজো এবং শান্তিপুর ও নবদ্বীপের রাস। সেই রাস উৎসব চলাকালীন সময়েই নদিয়ায় পা রাখতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। আগামী ৮ নভেম্বর তাঁর কৃষ্ণনগর(Krishnanagar) যাওয়ার কথা। পরদিন অর্থাৎ ৯ তারিখ মুখ্যমন্ত্রী দলীয় একটি সভায় যোগ দেবেন যা কার্যত জনসভা। ১০ তারিখ রানাঘাটের(Ranaghat) হবিবপুরে তিনি যোগ দেবেন নদিয়া জেলার প্রশাসনিক বৈঠক। তারপর তিনি ফিরবেন কলকাতায়। প্রশাসন সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর এই সফর শেষেই চূড়ান্ত হবে নদিয়া জেলা দুই ভাগে ভাগ হবে কিনা। সম্ভবত মুখ্যমন্ত্রী তাঁর এই সফরকালেই কৃষ্ণনগরের রাজনৈতিক জনসভা থেকে কিংবা রানাঘাটের প্রশাসনিক সভা থেকে এই নিয়ে ইঙ্গিতবাহী বার্তা দিতে পারেন। এখন সেদিকেই তাকিয়ে আছেন নদিয়াবাসী।

চলতি বছরেই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন বর্তমানের নদিয়া জেলার রানাঘাট ও কল্যাণী মহকুমার এলাকা নিয়ে পৃথক একটি জেলা গঠন করা হবে। সেই জেলার নাম দক্ষিণ নদিয়া হবে না রানাঘাট হবে তাও এখন ঠিক হয়নি। এমনকি সেই জেলার সদর শহর রানাঘাটে হবে নাকি কল্যাণীতে হবে তাও ঠিক হয়নি। সব থেকে বড় কথা জেলা ভাঙার এই বার্তা জেলাবাসীকে খুব একটা উৎফুল্ল করেনি। জেলার বেশিরভাগ মানুষই এই জেলা ভাগ চান না। তৃণমূলের নীচুতলার কর্মী থেকে নেতা এবং বিভিন্ন মহল থেকে সেই বার্তা ইতিমধ্যেই পেয়েছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব মায় নবান্নের প্রশাসনিক আধিকারিকেরাও। সেই কারণেই তড়িঘড়ি করে নদিয়া জেলা ভাগের প্রক্রিয়া এখনও শুরু হয়নি। তবে মুখ্যমন্ত্রীর এইবারের জেলা সফরের শেষ এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে নবান্নের আধিকারিকদের একাংশের অনুমান। তাই মুখ্যমন্ত্রীর এই সফর বেশ গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।

একইসঙ্গে মতুয়া সম্প্রদায় প্রভাবিত নদিয়া জেলার বুকে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর রাজনৈতিক সভা থেকে কী বার্তা দেন সেই দিকেও তাকিয়ে থাকবেন সকলে। কেননা এই মতুয়া ভোট ব্যাঙ্কের ওপর ভর দিয়েই ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন ও ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে নদিয়া জেলার দক্ষিণে বাজিমাত করেছিল বিজেপি। রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের পাশাপাশি রানাঘাট দক্ষিণ, রানাঘাট উত্তর পূর্ব, রানাঘাট উত্তর পশ্চিম, হরিণঘাটা, কল্যাণী, চাকদহ, কৃষ্ণগঞ্জ, শান্তিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী হয় বিজেপি(BJP)। কিন্তু চলতি বছরের পুরসভা নির্বাচনে এই এলাকাতেই গোহারান হেরেছে বিজেপি। কল্যাণী, গয়েশপুর, চাকদহ, রানাঘাট, শান্তিপুর, হরিণঘাটা, সবকটি পুরসভায় জয়ী হয়েছে তৃণমূল। এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী মতুয়াদের উদ্দেশ্যে কী বার্তা দেন, জেলা ভাগ নিয়ে কী বার্তা দেন ও বিজেপির বিরুদ্ধে কোন বার্তা দেন সেই দিকেই তাকিয়ে আছেন নদিয়াবাসী।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

সোমবার থেকে বঙ্গে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা উধাও, ধেয়ে আসছে ঝড় – বৃষ্টি

শ্লীলতাহানির অভিযোগ: রাজভবনের কর্মীদের মুখ বন্ধের নির্দেশ রাজ্যপালের

সম্পত্তি হাতাতে ভাইকে পিটিয়ে খুন, নিউটাউনের বাড়ি থেকে উদ্ধার মৃতদেহ

‘সন্দেশখালি বিজেপি করেছে, সিপিএম আর কংগ্রেস ধুনো দিয়েছে’, দাবি কুণালের

সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে আনছেন না কেন, রাজ্যপালকে নিশানা অভিষেকের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর