নিজস্ব প্রতিনিধি: বাড়ির ফ্রিজের মধ্যে রাখা সরকারি ব্লাড ব্যাঙ্কের পাউচ পাউচ রক্ত (BLOOD)। রক্তের সঙ্গে মজুত প্লাজমা (PLASMA)। অভিযোগ পাতিপুকুর এলাকার ভাড়া বাড়িতে থাকা এক ব্যক্তিকে নিয়ে। অভিযোগ জাল নথি দেখিয়ে সংগ্রহ করা হত রক্ত ও প্লাজমা। পরে তা বিক্রি করা হত চড়া দামে। ১২ বছর ধরে রমরমিয়ে চলছিল এই বেআইনি ব্যবসা। অবশেষে পুলিশের জালে (ARREST) ওই ব্যক্তি।
মানিকতলা থানার পুলিশ (POLICE) জানিয়েছে, রক্তের প্লাজমা রাখতে হয় মাইনাস ৫১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায়। আর ওই ব্যক্তি তা রাখত বাড়ির খাবার রাখার ফ্রিজেই। খাবার, রক্ত, প্লাজমা সব মজুত থাকত একসঙ্গে। বেআইনি ব্যবসার খবর গোপনসূত্রে পেয়েছিল পুলিশ। আর তারপরেই অভিযান চালিয়ে পাকড়াও করা হয় অভিযুক্তকে। ধৃতের নাম অনুপম ভট্টাচার্য। জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তি কাজ করত একটি প্যাথলজি ল্যাবে।
হাসপাতালের থেকে যেমন রিক্যুইজেশন দেওয়া হয়, তেমন জাল স্লিপ বানাত অভিযুক্ত। শুধু তাই নয় বিভিন্ন রক্তদান শিবির থেকেও সংগ্রহ করত কার্ড। আর এই সব দেখিয়েই সরকারি ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে সংগ্রহ করত রক্ত ও প্লাজমা। আর রোগীর পরিবারের কাছে সেই রক্ত ও প্লাজমা বিক্রি করা হত চড়া দামে। আরও অভিযোগ, একাধিক ছোট ছোট নার্সিংহোম জুড়ে এই চক্র চলত। থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের সঙ্গে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ভুয়ো স্লিপ, ভুয়ো স্ট্যাম্প এবং একাধিক রক্তদান শিবিরের কার্ড। জানা গিয়েছে, ধৃতের বাড়ি ছিল শ্যামবাজারে। তা বিক্রি করে পাতিপুকুরে নিয়েছিল ঘরভাড়া। জানা গিয়েছে, একটি গাড়িতে করে এই ভাড়া বাড়িতে নিয়ে আসা হত রক্ত ও প্লাজমা। তা রাখা হত বাড়ির সাধারণ ফ্রিজে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ আধিকারিকরা। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে অর্থের লোভে নষ্ট হয়ে যাওয়া রক্ত ও প্লাজমা বিক্রি করেছে ধৃত। দুঃসময়ে বেশি টাকা দিয়েও রক্ত ও প্লাজমা কিনে প্রতারিত হয়েছে রোগী ও তাঁদের পরিবার। এই চক্রে আরও কে বা কারা জড়িত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।