নিজস্ব প্রতিনিধি: ঘরের লোকের হাতেই কিনা সর্বনাশ। মা জোর করে বিয়ে দিয়ে দিয়েছিল নাবালিকাকে। সেই বিয়ের জেরেই স্বামী জোর করে পুরুষত্ব ফলিয়েছেন কচি বউয়ের ওপর। শেষে নিজের বন্ধুকে ফোন করে সব জানায় নাবালিকা সেই মেয়ে। খবর যায় পুলিশের কানেও। আর তার জেরেই উদ্ধার হল স্বামীর হাতে ধর্ষিতা সেই নাবালিকা, যার ঠাঁই হয়েছে এখন সরকারি হোমে। আর এই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড সেই নাবালিকার(Minor Girl)মা গ্রেফতার হয়েছেন পুলিশের হাতে। যদিও সেই স্বামী ও তার পরিবার ঘটনার পর থেকেই এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে কলকাতা(Kolkata) থেকেই ঢিল ছোঁড়া দূরে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ভাঙড়ের(Bhangar) কাশিপুর(Kashipur) থানা এলাকায়।
জানা গিয়েছে, যে নাবালিকার সঙ্গে এই ঘটনা ঘটেছে তার বাবা বেশ কয়েক বছর ধরেই অসুস্থ। মেয়েটি এলাকারই একটি ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিল। সেই ছেলের সঙ্গেই সে এক মাস আগে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছিল। মেয়েটির পরিবার তার জেরে ওই যুবকের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা রুজু করে। কয়েকদিনের চেষ্টায় পুলিশ নাবালিকাকে উদ্ধার করে এবং ওই যুবককে গ্রেফতার করে। সেই সময় মেয়েটি পুলিশকে(Police) জানিয়েছিল তার মা জোর করে তার বিয়ে দিয়ে দিতে চাইছে। তাই সে ওই যুবকের সঙ্গে পালায়। ওই কথা শুনে পুলিশ নাবালিকার মায়ের কাছ থেকে মুচলেখা লিখিয়ে নেয় যে মেয়েটির ১৮ বছর পূর্ণ না হলে তিনি আর মেয়ের বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। তাতে রাজি হয়ে যান নাবালিকার মাও। কিন্তু মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ফিরেই ভোল বদলান মা। পুলিশকে না জানিয়েই জোর করে চলতি মাসেই মেয়ের বিয়ে দিয়ে দেন এলাকারই এক বছর বাইশের যুবকের সঙ্গে।
কচি বউ পেয়ে ছেলেটিও তার সঙ্গে বিয়ের পর থেকেই জোর করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে। স্বামীর কাছেই ধর্ষণের শিকার হয়ে মেয়েটি একসময় বন্ধুকে ফোন করে সব কিছু জানায়। সেই জায়গা থেকেই খবর যায় পুলিশের কাছে। কাশিপুর থানার পুলিশ এরপর মেয়েটিকে উদ্ধার করে। সেই সময় থেকেই মেয়েটির স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেরা গা ঢাকা দেয়। স্বামীর বিরুদ্ধে পকসো ধারায় মামলাও রুজু করেছে পুলিশ। আবার নাবালিকা মেয়েকে জোর করে বিয়ে দেওয়ার জেরে গ্রেফতার হয়েছেন মেয়েটির মাও। মাঝখান থেকে মেয়েটিকে ঘর সংসার হারিয়ে যেতে হয়েছে সরকারি হোমে। কিন্তু এই ঘটনায় সব থেকে বড় প্রশ্ন যেটা উঠেছে তা হল, রাজ্য সরকার মেয়েদের জন্য এত প্রকল্প চালু করলেও তার সুফল কেন সর্বত্র পৌঁছাছে না! কেনই বা মানুষের মানসিকতাও বদলাছে না।