নিজস্ব প্রতিনিধি: পূর্ব যাদবপুরের (PURBA JADAVPUR) ছিট কালিকাপুরে তরুণীর খুনের ঘটনায় আটক করা হয়েছে ৩ জনকে। আটক মহিলার পুরুষসঙ্গী এবং মৃতার দিদি ও জামাইবাবু। এঁদের প্রত্যেককেই আটক করা হয়েছে রবিবার রাতে।
পুলিশ (POLICE) সূত্রে জানা গিয়েছে, আলাদা আলাদা ২ টি ঘর ভাড়া নিয়ে ‘নাম ভাঁড়িয়ে’ তাঁদের পুরুষসঙ্গীদের নিয়ে থাকতেন দুই মহিলা। মৃত মহিলা নিজের পরিচয় দিয়েছিলেন অপর্ণা সর্দার নামে। তাঁর আসল নাম রূপাদাসী (৩৬)। তাঁর সঙ্গীর নাম বাপী সর্দার। আবার মৃতার দিদি পরিচয় দেওয়া অপর মহিলার আসল নাম লক্ষ্মী। তিনি নিজের পরিচয় দিতেন স্বপ্না সর্দার নামে। তাঁর সঙ্গীর নাম সুজয় সর্দার। রূপাদাসী- বাপী এবং লক্ষ্মী- সুজয় থাকতেন পাসাপাশি আলাদা ঘরে। পুলিশের সন্দেহ সুজয় ও স্বপ্না আদৌ স্বামী- স্ত্রী কি না, তা নিয়েও। জানা গিয়েছে ২ মহিলার বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতোলা এলাকার কালুয়াখালিতে।
পুলিশের জেরায় মৃতার সঙ্গী বাপী বলেন, গত শনিবার তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল। এরপরেই ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যান তিনি। পরে জানতে পেরেছিলেন, গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা (SUICIDE) করেছেন রূপা (অপর্ণা)। পুলিশের প্রশ্ন, তাহলে কেন আত্মগোপন করেছিলেন বাপী? উল্লেখ্য, মৃতার দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসা সময়ের অপেক্ষা। পুলিশের অনুমান, বাপী নিজেই খুনের কথা বলে স্বপ্না ও সুজয়কে পালাতে বলেছিলেন। পুলিশের সন্দেহ রূপা ও স্বপ্না আদৌ বোন কি না।
উল্লেখ্য, পূর্ব যাদবপুর থানা এলাকার ছিট কালিকা পুরে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন ওই মহিলা। রবিবার সকালে ওই বাড়ি থেকে মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করে পূর্ব যাদবপুর থানার পুলিশ। বাড়ির মালিক পূর্ব যাদবপুর থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে ওই বাড়িতে পৌঁছে পুলিশ আধিকারিকরা দেখেন ঘরের দরজা বন্ধ রয়েছে। অবশেষে দরজা ভেঙে ঘরের মধ্যে ঢুকে দেখা যায়, মহিলার দেহ পড়ে রয়েছে। মহিলাকে শ্বাসরোধ করে খুন (MURDER) করা হয়েছে বলে পুলিশের অনুমান।