নিজস্ব প্রতিনিধি: হাইকোর্টের নির্দেশের পর অবস্থানরত চাকরিপ্রার্থীদের তুলে দিল পুলিশ। সল্টলেকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসের সামনে থেকে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের তুলে দেয় বিধাননগর পুলিশ।
গত চার দিন ধরে সল্টলেকের করুণাময়ীতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসের সামনে অবস্থান করছিলেন প্রাথমিকে টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা। নিয়োগের দাবিতে আমরণ অনশনও শুরু করেছিলেন আন্দোলনকারীরা। প্রথম দিন থেকে অবস্থান তুলে নেওয়ার জন্য পুলিশের তরফে চাকরিপ্রার্থীদের কাছে আবেদন করা হয়। কিন্তু নিজেদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। আন্দোলনের বিরোধিতা করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দেয়, পর্ষদের অফিস চত্বরে জারি থাকা ১৪৪ ধারা কার্যকর করতে পারবে পুলিশ। এরপর বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আন্দোলনকারীদের সরাতে হস্তক্ষেপ করে পুলিশ। অন্যদিকে এদিন রাতে ঘটনাস্থলে হাজির হন, সিপিএমের যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, বিজেপির সজল ঘোষ সহ একাধিক বিরোধী নেতা নেত্রীরা। তাঁরা পুলিশের ভূমিকার নিন্দা করেছেন।
এদিন আন্দোলনকারীদেরকে পুলিশের গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। কয়েকজন আন্দোলনকারী অসুস্থ হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। রাত ১২টা ১৫ মিনিট নাগাদ পুলিশ হস্তক্ষেপ করে অবস্থান সরানোর জন্য। নিয়োগের দাবিতে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু আগেই বলেছিলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী চান সবার যোগ্যতার নিরিখে চাকরি হোক। এখানে চাকরি দেয় পর্ষদ। একজন অসুস্থ হলেই কি তাঁকে চাকরি দেওয়া যায়! যোগ্য কিনা তা যাচাইয়ের জন্য ইন্টারভিউয়ে বসুন। একদল বিরোধী চান না, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়োগ করুন। চান রাজ্যে অচলাবস্থা তৈরি হোক। তাই নিয়োগ প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করার জন্য এটা করা হয়েছে। তবে আমরা চাইছি, স্বচ্ছভাবে, নৈতিকভাবে নিয়োগ করতে।’