এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

বিধাননগরের ভোটে ফুলমার্কস পুলিশকে! খুশ কমিশনও

নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের ৪টি পুরনিগমে ভোট ছিল শনিবার। এই চারটি পুরনিগম হল বিধাননগর, চন্দননগর, আসানসোল ও শিলিগুড়ি। এর মধ্যে নিঃসন্দেহে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ছিল কলকাতার কান ঘেঁষে থাকা বিধাননগর পুরনিগমের ভোট। ৪১টি ওয়ার্ড বিশিষ্ট এই পুরনিগমে পুলিশ দিয়ে ভোট করালে সেই ভোট নির্বিঘ্নে হবে না বলে প্রথম থেকেই দাবি তুলেছিল বিরোধীরা। বিশেষ করে বিজেপি। তাঁরা তো পুলিশের বদলে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে আদালতেও মামলা ঠুকেছিলেন। কিন্তু আদালত রাজ্য নির্বাচন কমিশনকেই দায়িত্ব দিয়েছিল এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে। কমিশন আবার আস্থা রেখেছিল রাজ্য পুলিশের ওপরেই। সেই আস্থা রাখা যে ভুল ছিল না সেটা কিন্তু এদিনের নির্বিঘ্নের ভোট প্রমাণ করে দিয়েছে। আর তাই মুখে খুশির হাসি ফুটে উঠেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের মুখেও।

বিরোধীদের বিশেষ করে বিজেপির অভিযোগ ছিল রাজ্য পুলিশের এক্তিয়ারে ভোট হলে আমজনতা বাড়ির বাইরে পা রেখে ভোট দিতেই আসবেন না। তাঁরা নিজেদের ভোট নিজেরা দিতে পারবেন না। বুথে পৌঁছে হয়তো শুনতে পারবেন তাঁর ভোট আগেই পড়ে গিয়েছে। সেই সঙ্গে আমজনতাকে সন্ত্রস্ত করে রাখতে মুড়ি মুড়কির মতো বোমাবাজি করবে দুষ্কৃতীরা। কিন্তু শনিবার দিনভর কার্যত বিরোধীদের দাবির উলটো ছবিই দেখা গেল। বিধাননগর পুরনিগমের আওতায় আসা গোপালপুর, আটঘড়া, দশদ্রোণ, কৈখালি, হাতিয়াড়ার মতো এলাকাই হোক বা বাগুইহাটি, সল্টলেক, সুকান্তনগর, কেষ্টপুরের মতো এলাকা সব জায়গায় এদিন নিজের ভোট নিজেই দিতে পারেছেন আমজনতা। কোনও সংবাদমাধ্যমের কাছে কেউ কোনও অভিযোগ তোলেননি যে তাঁর ভোট অন্য কেউ দিয়ে দিয়েছে বা তিনি ভোট দিতে পারেননি। কোনও বিরোধী দলের প্রার্থী কোথাও আক্রান্ত হননি কারোর হাতেই। ভোটাররাও নির্বিঘ্নে নিজের বুথে গিয়ে নিজের ভোট নিজে দিয়েছেন। পুলিশ দিয়েও যে নির্বিঘ্নের ভোট করানো যায় সেটা বিধাননগর দেখিয়ে দিয়েছে।

আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, পুলিশ দিয়ে বিধাননগর পুরনিগমের মতো স্পর্শকাতর এলাকায় যদি নির্বিঘ্নের ভোট করানো যায় তাহলে বিরোধীরা বিশেষ করে বিজেপি বার বার কেন্দ্রীয় বাহিনী এনে ভোট করানোর মতো দাবি তুলছে কেন আর কেনই বা সেই দাবি নিয়ে তাঁরা আদালতে মামলা ঠুকছে! তাহলে কেন্দ্রীয় বাহিনী এনে তাঁদের ঘেরাটোপে ভোট করানোর দাবির পিছনে বৃহত্তর কোনও ষড়যন্ত্র কী লুকিয়ে ছিল? এই কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধেই কিন্তু একুশের বিধানসভা নির্বাচনে একাধিক গুরুতর অভিযগ উঠেছিল। তার মধ্যে যেমন ছিল সংখ্যালঘু ভোটারদের বুথে গিয়ে ভোটদান করতে বাধা প্রধান, মহহিলা ভোটারদের উদ্দেশ্যে কটুক্তি ও শ্লীলতাহানি এবং সর্বোপরি বুথে দাঁড়িয়ে থাকা ভোটারদের ভয় দেখিয়ে চাপ দিয়ে নির্দিষ্ট একটি দলের স্বপক্ষে ভোট দেওয়ানোর মতো ঘটনা। এবারেও কী বিধাননগর পুরনিগমের নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী এনে সেই কায়দাতেই ভোটলুঠের ছক কষেছিল গেরুয়া শিবির, এই প্রশ্ন কিন্তু এদিন উঠে গিয়েছে বিধাননগরের বুকে নির্বিঘ্নের ভোটের দরুন।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

শুক্রবার উত্তর কলকাতার কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠকে বসছে তৃণমূল

শুক্রবার রাতে নির্বাচনী জনসভায় যোগ দিতে কলকাতায় এলেন নরেন্দ্র মোদি

রাজভবনের পিস রুম মহিলাদের পিস হেভেনে পরিণত হয়েছে, কটাক্ষ চন্দ্রিমার

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ রাজভবনের মহিলা কর্মীর

রবিবার থেকে জেলায় জেলায় শুরু হবে বৃষ্টি, সোমবার ভিজতে পারে কলকাতা

তৃণমূলের তারকা প্রচারের তালিকা থেকে বাদ পড়লেন কুণাল

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর