নিজস্ব প্রতিনিধি: বঙ্গে রঙের উৎসবে মেতেছে বঙ্গবাসী। উৎসবের মেজাজে ছুটি কাটাচ্ছেন অনেকে। দোলের দিন আমিষ রান্না হয় কমবেশি বাড়িতে। কিন্তু এবার দোলের সকালে বাজারে গিয়ে পকেটে ছেঁকা লাগার জোগাড় মধ্যবিত্তের।
মুরগির দাম কেজি পিছু আড়াইশো টাকা পার। আর পাঁঠার মাংস বিকোচ্ছে কেজি পিছু সাড়ে সাতশো টাকার দোরগোড়ায়। বাজারভেদে এই দামের কিছুটা হেরফের হতে দেখা গিয়েছে। মুরগি ২৪০-২৫০ টাকা কেজি। আর পাঁঠার মাংস ৭২০-৭৪০ টাকা কেজি। তবে দাম বেশি হলেও ছুটির দিনে মাংস কিনতে ভিড় জমিয়েছেন অনেকেই। মাংসের পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মাছের দামও। রুই, কাতলা, পাবদা, ভেটকি, তোপসে, সব মাছেরই দাম ঊর্ধ্বমুখী।
মাংসের দাম বাড়া শুরু হয়েছিল দোলের বেশ কয়েক সপ্তাহ আগে থেকে। বসন্তের মাসে বিয়ের মরসুম থাকে। আর সেই সময় মাছ মাংসের চাহিদা থাকে বিপুল। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় মাছ মাংসের দাম বাড়িয়ে দেয় পাইকারি ব্যবসায়ীরা। আর সেই ধারা অব্যাহত থাকায় দোলের দিনে বিপাকে পড়েছে মধ্যবিত্ত। বাজারের মাছ মাংস বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়েই তার দাম বাড়িয়েছেন।
মুরগির মাংসের দাম বৃদ্ধির পেছনে মুরগির খাবারের দাম বৃদ্ধিকে দায়ী করেছেন পোলট্রি সংগঠনের নেতারা। তাঁদের দাবি, খামারে মুরগির খাবার হিসাবে ভুট্টার দানা ব্যবহার করা হয়। সাম্প্রতিক সময়ে সেই খাবারের দাম ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এর জেরেই মাংসের দাম বেড়েছে। পাশাপাশি বাজারে চাহিদা বেশি থাকায় এবং জোগানে ঘাটতি থাকায় দামবৃদ্ধি হয়েছে বলে জানান তাঁরা। যদিও মাছ-মাংসের দামকে ছাপিয়ে গিয়েছে ক্রেতাদের উম্মাদনা। তাঁদের সরস মন্তব্য, দোলে ছুটির দিনে একটু মাছ মাংস না হলে চলে?