নিজস্ব প্রতিনিধি: বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী কে কে’(KK)র অকাল প্রয়াণে শোকস্তব্ধ দেশের সঙ্গীতমহল। মন ভারাক্রান্ত তাঁর কোটি কোটি গুণগ্রাহীর। তাঁর এহেন অকাল ও আকস্মিক মৃত্যুতে কিছু প্রশ্ন উঠেছিল। কেননা তাঁর দেহে মিলেছিল আঘাতের চিহ্ন। কপালে আর ঠোঁটে ছিল সেই আঘাতের চিহ্ন। পাশাপাশি কলকাতার নিউমার্কেটে থানায় দায়ের হয়েছিল একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগও। তার জেরে কে কে’র দেহ ময়নাতদন্ত(Postmortem) করানোর সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়। সেই মতোই বুধবার সকালে কে কে’র স্ত্রী, পুত্র ও দুই আত্মীয় কলকাতায় এসে পৌঁছালে তাঁদের উপস্থিতিতে কে কে’র দেহ সিআমআরআই হাসপাতাল থেকে বার করে এসএসকেএম হাসপাতালে(SSKM Hospital) নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই করা হয় ময়নাতদন্ত। সেই ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টেই অবশ্য জানানো হয়েছে কোনও অস্বাভাবিকতা মেলেনি। ৭২ ঘন্টা বাদে চূড়ান্ত রিপোর্ট দেওয়া হবে। তবে প্রাথমিক রিপোর্টে হৃদযন্ত্রের সমস্যা ধরা পড়েছে যা শিল্পীর আগে থেকেই ছিল।
এদিকে কে কে’র মৃত্যুর পরে পরেই কলকাতা মেট্রোপলিটান ডেভেলপমেন্ট অথরিটি বা কেএমডিএ’(KMDA)র তরফে জানানো হয়েছে, এবার থেকে কলেজ ফেস্টের জন্য নজরুল মঞ্চকে(Nazrul Mancha) আর দেওয়া হবে না। পাশাপাশি ফিরহাদ গতকালের অনুষ্ঠানে পরিকাঠামোগত ত্রুটির কথাও অস্বীকার করেছেন। এদিন ফিরহাদকে জানান, ‘কেকে এত জনপ্রিয় যে যুবারা তাঁকে ছেঁকে ধরে। কালকেই কেএমডিএ-র তরফে বলা হচ্ছিল, আর কলেজকে দেবেন না। সিটের ওপর উঠে নাচানাচি করে ওরা সিটগুলো অর্ধেক ভেঙে দেয়। ওরা যুবাদের ভিড়কে আটকানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু জনস্রোতকে আটকানো যায়নি। নজরুল মঞ্চে এসি যথেষ্ট ভালো। আমরা সেখানে অনুষ্ঠান করলে এসি কমাতে বলি। কিন্তু এসির তো একটা লিমিটেশন রয়েছে। ২,৭০০ মানুষের জন্য যে এসি সেটা ৭,০০০ হলে তো স্বাভাবিক ভাবেই মানুষের নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের তাপ সে কমাতে পারে না। শুনলাম পাঁচিল টপকে টপকে ছেলে মেয়েরা ঢুকছিল। তাদের নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি কারণ, মানুষের উচ্ছ্বাস। মানুষের উচ্ছ্বাস হলে কে নিয়ন্ত্রণ করবে? মানুষ তখন হই হই করে দৌড়ে আসে। তার মধ্যে তো পুলিশ লাঠিচার্জ করতে পারে না। একটা মানুষ গান শুনতে চাইছে তাকে কি লাঠি দিয়ে পেটাবে? সংবাদমাধ্যম এখন সব মৃত্যুকেই বিতর্ক বানানোর চেষ্টা করে। কিন্তু মানুষের হৃদপিণ্ড কখন টুক করে বন্ধ হয়ে যায় কেউ বলতে পারে না।’