নিজস্ব প্রতিনিধি: মহালয়ার আর এক সপ্তাহ বাকি। তার আগে শেষ রবিবার পুজোর বাজার জমজমাট শহরে। ছুটির দিনে পুজোর কেনাকাটা করতে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। কোভিড পরিস্থিতির কারণে গত দু বছর পুজোর উৎসব কেটেছে কোনওরকমে। এবারে পুজোর উদযাপন করতে মুখিয়ে আছেন পুজো প্রেমীরা। অনেকে মহালয়ার আগে শেষ রবিবার দিনটিকে বেছে রেখেছিলেন নতুন জামা, জুতো কেনার জন্য। পূর্ব পরিকল্পনা মতো এদিন কেনাকাটা করতে তাই ভিড় জমালেন দোকান ও শপিং মলগুলিতে। গড়িয়াহাট, হাতিবাগান, শ্যামবাজার, হরি সাহার হাটের দোকান গুলিতে ভিড় ছিল নজরকাড়ার মতো।
বারুইপুর থেকে বরকে নিয়ে গড়িয়াহাটে পুজোর জন্য কেনাকাটা করতে এসেছিলেন দেবলীনা মণ্ডল। কথা হচ্ছিল তাঁর সঙ্গে, কী কী কিনলেন এই প্রশ্ন করতে তিনি জানালেন, ‘নিজের জন্য শাড়ি ও জুতো কিনেছি আর বরের জন্য পাঞ্জাবি। বরের জুতো কেনাটা বাকি রয়েছে।’একটি বিশেষ দোকানের নাম জানিয়ে বললেন, সেখান থেকে কিনবেন। হাতিবাগানে প্রেমিকার সঙ্গে পুজোর শপিং করতে এসেছিল অর্ণব দাস। কলেজ পড়ুয়া এই তরুণ জানালেন, ‘কিনেছি দুজনের জন্য। কিন্তু যা দাম বাজারে। খুব হিসাব করে কেনাকাটা করতে হচ্ছে।’
ছুটির দিনে বাজার ঘুরে উঠে এলো অন্য তথ্যও। ভিড় থাকলেও খুব বেশি বিক্রি হচ্ছে না দোকানগুলিতে। কেন জানতে চাইলে, গড়িয়াহাটের এক নামকরা জুতো দোকানের মালিক জানালেন, ‘মানুষের হাতে টাকা কম। অনেকে এখনও বোনাস পায়নি। তাই খুব সাবধানতার সঙ্গে কেনাকাটা করছে বেশিরভাগ লোক। দেখেছি দু জোড়া, তিন জোড়া করে একজনের জন্য জুতো কিনতেন বহু লোক। কিন্তু এবারে তেমন ঘটনা খুব কম। বেশিরভাগ মানুষ এক জোড়া জুতো কিনেই সন্তষ্ট থাকছেন।’ সংযোজন তাঁর। সব মিলিয়ে ছুটির দিনে পুজোর বাজার হিসেবি কিন্তু জমজমাট ছিল।