নিজস্ব প্রতিনিধি: অবশেষে প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিখোঁজ পড়ুয়া সৌম্যদীপ মণ্ডলের খোঁজ মিলল। শুক্রবার সকালে পুর্ব বর্ধমান জেলার শক্তিগড়ে তাকে উদ্ধার করেছে রেল পুলিশ। উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বসিরহাটের বাসিন্দা সৌম্যদীপ।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নিখোঁজ ছিল কলকাতার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিখোঁজ পড়ুয়া সৌম্যদীপ মণ্ডল। সৌম্যদীপ উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বসিরহাটের বাসিন্দা। এদিন সকালের পর থেকে ছেলের কোনও খোঁজ না পাওয়ায় চিন্তিত হয়ে পড়েন তার পরিবারের লোকজন। পরিজনরা উদ্বিগ্ন হয়ে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ খবর নেন। কিন্তু কোথাও তার হদিশ পাওয়া যায়নি। অবশেষে শুক্রবার সকালে পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ে তার দেখা মেলে। সেখান থেকে ওই পড়ুয়াকে উদ্ধার করে আরপিএফ। উদ্ধার করার পর ওই ছাত্রকে থানায় বসিয়ে রাখা হয় কিছুক্ষণ। পুলিশকর্মীরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পুলিশকে ওই পড়ুয়া জানায়, ‘আমি বসিরহাট ফিরতে চাই।’ রেল পুলিশ সূত্রে খুবর, সৌম্যদীপকে যখন উদ্ধার করা হয় সেই সময় তাকে বিধ্বস্ত অবস্থায় থাকতে দেখা যায়। সেই সময় অনমনস্ক ছিল সে। কিন্তু কীভাবে ওই পড়ুয়া শক্তিগড়ে পৌঁছল বা কেন সেখানে গেল সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি এখনও। ইতিমধ্যে সৌম্যদীপকে তার বাবার হাতে তুলে দিয়েছেন আরপিএফ আধিকারিকরা। সেখান থেকে তাকে বটতলা থানায় নিয়ে আসা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে ছেলের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা নিয়ে সৌম্যদীপের বাবা দীপক মণ্ডলের দাবি, বৃহস্পতিবার সকাল ছ’টার সময় শেষবার ছেলের সঙ্গে কথা হয়েছিল। এরপর থেকে ফোন করলে রিং হয়ে গেলেও সে ফোন ধরেনি। চিন্তিত হয়ে তিনি সৌম্যদীপের বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তারা জানায়, সকালে বেরলেও সৌম্যদীপ ফেরেনি। এরপর রাত পর্যন্ত সৌম্যদীপের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। অবশেষে শুক্রবার সকালে তার খোঁজ মেলে।