নিজস্ব প্রতিনিধি: সংগঠনের শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে বাংলার সঙ্ঘ প্রচারক ও পদাধিকারীদের বড় সড় টার্গেট বেঁধে দিলেন সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত। ২০২৫ সালের মধ্যে যাতে রাজ্যের প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে অন্তত একজন করে সঙ্ঘ সমর্থক বা সদস্য থাকেন তার জন্য ঝাঁপানোর নির্দেশ দিয়েছেন। সঙ্ঘ সমর্থক কিংবা সদস্য হিসেবে যাঁরা যুক্ত হবেন তাদের তিন ভাগে ভাগ করা হবে। নয়া সমর্থক-সদস্যদের সাতদিন, এক মাস ও এক বছর সংগঠনের কাজে জড়িত থাকতে। ভাগবতের বেঁধে দেওয়া লক্ষ্য শেষ পর্যন্ত কতটা পূরণ করা যাবে তা নিয়ে সন্দিহান সঙ্ঘের রাজ্য পদাধিকারীরা।
নেতাজির জন্মদিন উপলক্ষে বুধবারই শহরে পা রেখেছেন সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত। ওই দিনই হুগলিতে সাংগঠনিক বৈঠক করেন বৃহস্পতিবার রাতে নিউটাউনের এক হোটেলে প্রাক্তন পুলিশ আধিকারিক সহ সমাজের বেশ কয়েকজন বিশিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করেন। শুক্রবার সকাল থেকে সঙ্ঘের রাজ্য পদাধিকারী সহ বিভিন্ন শাখা সংগঠনের কর্তাদের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠকে বসেছিলেন সরসঙ্ঘচালক। সূত্রের খবর, রাজ্যে সঙ্ঘের প্রচারক তথা পদাধিকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ সহ উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে জঙ্গিরা। ফলে সঙ্ঘের প্রচারকদের সতর্ক থাকতে হবে। সংগঠন বাড়াতে হবে। দেশ ভাঙার যাবতীয় প্রচেষ্টা ভেস্তে দিতে হবে।’
আগামী ২৩ জানুয়ারি নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মদিন উপলক্ষে শহিদ মিনারের পাদদেশে প্রকাশ্য সমাবেশে ভাষণ দেবেন সঙ্ঘ প্রধান। ওই সমাবেশে শুধু কলকাতা ও হাওড়া থেকেই যাতে সঙ্ঘের সদস্য ও সমর্থকরা জড়ো হন সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ওই দিন সকাল সাড়ে আটটার সময়ে রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রেই বিশেষ মিছিল বের করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাওড়া ও কলকাতা মহানগর বাদে রাজ্যের বাকি জায়গার সঙ্ঘ সমর্থক ও সদস্যদের ওই মিছিলে সামিল হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।