নিজস্ব প্রতিনিধি : সম্প্রতি ব্রিগেড সমাবেশ থেকে রাজ্যে ৪২ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিয়েছে তৃণমূল। অন্যদিকে বিজেপিও রাজ্যে ১৯টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে তৃণমূল-বিজেপির সঙ্গে টক্কর দিতে ময়দানে নেমে পড়েছে বামেরাও। তৈরি রাখছে নিজেদের প্রার্থীর নাম। জানা যাচ্ছে, বাম প্রার্থীদের মধ্যে জায়গা করে নিতে পারেন মহম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তী, দীপ্সিতা ধররা। তবে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে হয়ত প্রার্থী করা হবে না।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের মতো এবারের লোকসভা নির্বাচনেও বাম ও কংগ্রেসের মধ্যে আসন সমঝোতা হতে চলেছে। রাজ্যে ৪২টির মধ্যে কিছু আসনে বামেরা লড়তে চলেছে ও কিছু আসন ছাড়া হচ্ছে কংগ্রেসকে। কংগ্রেস বা বাম কেউই আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেননি। তবে বামেদের কারা কারা প্রার্থী হতে চলেছেন, সেই সম্পর্কে জানা যাচ্ছে। জানা যাচ্ছে, মুর্শিদাবাদ কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হতে পারেন মহম্মদ সেলিম। এর আগে ২০১৪ সালে রায়গঞ্জ কেন্দ্র থেকে অল্প ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করলেও ২০১৯ সালে এই কেন্দ্র থেকে তৃতীয় স্থানে ছিলেন সেলিম।
পাশাপাশি হুগলি কেন্দ্রে প্রার্থীর নাম ঠিক করে ফেলেছে বামেরা। জানা যাচ্ছে, এই কেন্দ্র প্রার্থী হতে পারেন দীপ্সিতা ধর। ইতিমধ্যে এই কেন্দ্রে তৃণমূল ও বিজেপি দুই দলই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিয়েছে। তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। একইসঙ্গে শোনা যাচ্ছে, যাদবপুর কেন্দ্রে প্রার্থী করা হতে পারে পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ সুজন চক্রবর্তীকে। এর আগেও এই যাদবপুর কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছিলেন সুজন। ২০০৪ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত এই যাদবপুর কেন্দ্রে সাংসদ ছিলেন তিনি। এবারের লোকসভা নির্বাচনে ফের তাঁকে প্রার্থী করা হতে পারে। ২০১৯ সালে এই কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করা হয়েছিল বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যকে। কিন্তু তিনি সেই কেন্দ্রে তৃতীয় স্থানে ছিলেন। তবে জানা যাচ্ছে, এবারে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে এবারে প্রার্থী করা নাও হতে পারে। গত বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রাম আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন মীনাক্ষি। কিন্তু জয়লাভ করতে পারেননি।