নিজস্ব প্রতিনিধি: বাগদেবীর আরাধনা (SARASWATI PUJA) নিয়ে উত্তাল প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় (PRESIDENCY UNIVERSITY)। কর্তৃপক্ষের যুক্তি ছিল, ধর্মনিরপেক্ষ এই বিশ্ববিদ্যালয়, তাই সরস্বতীপুজোর অনুমোদন নয়। সেই ধর্মনিরপেক্ষতাকেই থিম করে পুজো করতে চলেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। থিম, ‘দেশ সেক্যুলার, প্রেসিডেন্সি সেক্যুলার’। আর পুজো করবেন অব্রাহ্মণ। শুধু অব্রাহ্মণেই জোর দেয়নি তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। জানা গিয়েছে, পৌরহিত্য করবেন এক মহিলা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তণ ছাত্রী রাজন্যা হালদার। আর পুজোর জন্য প্রতিমা দিচ্ছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য।
সবুজ শিবিরের পড়ুয়া সংগঠন জানাচ্ছে, পুজোয় বার্তা থাকবে, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং সর্বধর্ম সমন্বয়ের। পুজো হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের বাইরে। প্রতিমা ডাকের সাজের। দেবী মূর্তির পেছনে থাকবে জাতীয় পতাকা। বার্তা, জাতীয়তাবাদের। উল্লেখ্য, এবারে সরস্বতী পুজোর তিথি পড়েছে ২৬ জানুয়ারি। এই দিনেই সাধারণতন্ত্র দিবস। তাই পুজো হবে জাতীয়তাবাদ, সেক্যুলার ভাবনাতেই। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ধর্মনিরপেক্ষতাকে নেতিবাচক অর্থে ব্যবহার করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ‘সেক্যুলার’ কী তা ফুটে উঠবে থিমে।
কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হয়েছিল, বিশ্ববিদ্যালয় ডিরোজিও পন্থায় বিশ্বাসী। ২০৬ বছর ধরে কোনও মূর্তিপুজো হয়নি। সবুজ শিবিরের শিক্ষার্থী সংগঠন বলছে, ডিরোজিও সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সহ বরেণ্যদের ছবি থাকবে পুজোয়। নিবেদন করা হবে বিশেষ শ্রদ্ধার্ঘ্য। উত্তোলন করা হবে জাতীয় পতাকা।
প্রাক্তনীদের পাশাপাশি আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে এসএফআই এবং আইসি পড়ুয়া সংগঠনের সদস্যদেরকেও। উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ে পুজোর বিরোধিতা করেছিল শিক্ষার্থীদের এই সংগঠন। পুজোয় বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মন্ত্রী তাপস রায়, বিধায়ক মদন মিত্র প্রমুখ। আমন্ত্রিত থাকবেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতিরা।