নিজস্ব প্রতিনিধি: গত ৫ জানিয়ারি উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমার সন্দেশখালির(Sandeshkhali) ন্যাজাট থানা এলাকার সরবেরিয়া গ্রামে রেশন দুর্নীতির(Ration Distribution Sacm) তদন্তে গিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা Enforcement Directorate বা ED’র আধিকারিকেরা। তাঁদের সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও। সেখানে তাঁরা গিয়েছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদের সদস্য শাহজাহান শেলহের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে। কিন্তু কয়েক শো মারমুখী জনতার হাতে মার খেয়ে সেদিন এলাকা ছাড়তে হয়েছন ৩জন ED আধিকারিককে। এবার সেই ঘটনা নিয়েই এবার কলকাতা হাইকোর্টের(Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছে শেখ শাহজাহান(Sheikh Sahajahan)। তিনি মূল মামলার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আর্জি জানিয়েছেন এদিন অর্থাৎ সোমবার।
ঘটনাচক্রে সরবেরিয়ার বুকে ঘটে যাওয়া সেই ঘটনার পরে গত দশদিন ধরে বেপাত্তা রয়েছেন শাহজাহান। এদিন তিনি সশরীরে আদালতে হাজিরা না দিলেও তাঁর আইনজীবী তাঁর আর্জির বিষয়বস্তু আদালতকে জানান। যদিও সেই সময় আদালত পাল্টা প্রশ্ন করে, ‘আপনার মক্কেল কেন ধরা দিচ্ছেন না? এতক্ষন আপনি এজিকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। এতক্ষণ আমি ভেবেছি আপনি রাজ্যের জুনিয়র আইনজীবী। আপনি এজিকে থামানোর চেষ্টা করছিলেন কেন? এজি আপনাকে চুপ করতে বলার পরেও আপনি তাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন।’ এরপরেই রাজ্যের এজিকে উদ্দেশ্য করে আদালত নির্দেশ দেয় যে, ‘সৎ ভাবে বিচার দেওয়ার ইচ্ছে থাকলে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করুন।’ আদালতে এদিন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত জানান, মোট ৪জনকে সন্দেশখালির ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে। তাতে আদালত প্রশ্ন করে, ‘এখন কে তদন্ত করছে?’ এজি জবাব দেন, ‘লোকাল পুলিশ করছে ডিএসপি-র নেতৃত্বে।’