নিজস্ব প্রতিনিধি: সন্দেশখালিকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহানকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ইডি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল আদালত। গত ৩০ মার্চ বসিরহাট জেলে গিয়ে প্রায় চার ঘন্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পরে বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। জেলের মধ্যে থাকায় শ্যেন অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছিল। সোমবার অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নিতে কলকাতার বিশেষ ইডি আদালতের দ্বারস্থও হয়েছিল।
এদিন আদালতে ইডির আইনজীবী দাবি করেন, ‘তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন শাহজাহান। তদন্তে বেশ কয়েকটি নতুন নাম উঠে এসেছে। শাহজাহানকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করা না হলে, যাঁদের নাম উঠে এসেছে, তাঁরা পালিয়ে যেতে পারেন বা নাগালের বাইরে চলে যেতে পারেন।’ শুধু ওই যুক্তি দেখিয়েই ক্ষান্ত হননি ইডির আইনজীবী। তিনি আরও দাবি করেন, ‘দেশের স্বার্থে শেখ শাহজাহানকে হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন।’ অন্য দিকে ইডির হেফাজতের বিরোধিতা করে অভিযুক্তের আইনজীবী জাকির হুসেন বলেন, ‘যে সমস্ত এফআইআরের ভিত্তিতে শাহজাহানের বিরুদ্ধে ইডি ইসিআইআর (এনফোর্সমেন্ট কেস ইনভেস্টিগেশন রিপোর্ট) দায়ের করেছে, তার মধ্যে প্রথম দিকের একটিতে চার্জশিটে নামই ছিল না অভিযুক্তের।’ দুই পক্ষের সওয়াল জবাব শেষে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত শাহজাহানকে ইডি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।
এদিন আদালতে শেখ শাহজাহানকে হাজির করার সময়ে বেশ কয়েকজন বিজেপি সমর্থক আইনজীবী তার ফাঁসির দাবি জানান। আদালতের লকআপে প্রবেশের সময়ে ধাক্কাধাক্কিতে হোঁচটও খেয়ে প্রায় পড়ে যাচ্ছিলেন সন্দেশখালির এক সময়ের বেতাজ বাদশা। এদিন আদালত চত্বরে যথেষ্ট ম্রিয়মান দেখাচ্ছিল এক সময়ের দাপুটে নেতাকে।