নিজস্ব প্রতিনিধি: ট্যুইট(Tweet) করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে(Suvendu Adhikari) ‘মিথ্যুক’ বলে বিঁধলো বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস(TMC)। সম্প্রতি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee) এক জনসভায় দাবি করেছিলেন, বাংলায় বিধানসভা ভোটে হেরে যাওয়ার পর ১০ পয়সাও দেয়নি কেন্দ্র। সেই বক্তব্য তুলে ধরে শুভেন্দু দাবি করেন, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা-গ্রামীণের অধীনে প্রথম কিস্তি হিসাবে ৬৮৭,৮৩,৯৮,৮৫০ টাকা দিয়েছিল কেন্দ্র। প্রমাণ হিসাবে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের একটি চিঠিও তুলে ধরেন তিনি। তারই পাল্টা হিসাবে এদিন ট্যুইট করে শুভেন্দুকে পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূল। কার্যত এদিন তৃণমূলের ট্যুইটে জানানো হয়েছে, গত ৩ বছরে আবাস যোজনায় কেন্দ্রীয় বরাদ্দ মঞ্জুর না হওয়া সত্ত্বেও ‘অসত্য’ দাবি করছেন শুভেন্দু। যুক্তি দিতে বিভিন্ন তথ্যও তুলে ধরেছে শাসকদল। ১০০ দিনের কাজের টাকা কেন আটকে, তা নিয়েও এদিন সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর জবাবও চেয়েছে তৃণমূল।
তৃণমূলের ট্যুইটে এদিন বলা হয়েছে, মানুষকে ‘প্রতারণা’ করার জন্য শুভেন্দু অসত্যভাষণ করেন। কেন্দ্রীয় বরাদ্দের বিষয়েও তাঁর জ্ঞান সীমিত। দুই ভাগে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা-গ্রামীণ প্রকল্প কার্যকর হয়েছে। প্রথম বার ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষ থেকে ২০২১-২১ অর্থবর্ষে কার্যকর হয়। সে সময় যাঁরা অপেক্ষমান তালিকায় ছিলেন, তাঁদের নিয়ে সুবিধাপ্রার্থীদের তালিকা তৈরি করা হয়। দ্বিতীয় বার ২০২২-২৩ থেকে। ২০১৮-১৯ সালে যে সমীক্ষা করা হয়েছিল, তার ভিত্তিতেই দ্বিতীয় বার আবাসের টাকা মঞ্জুর করা হয়। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের সচিব ২০২৩ সালের ৪ ডিসেম্বর চিঠি দিয়ে ৬৮৭, ৮৩, ৯৮, ৮৫০ টাকা বরাদ্দের কথা জানিয়েছেন। তবে তিনি এও জানিয়েছিলেন, ২০২১ সালের আগে প্রথম দফায় যে সব বাড়ি নির্মাণ শেষ হয়নি, তার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল সেই টাকা। অর্থাৎ নতুন কোনও প্রার্থী সেই টাকা পাননি। তৃণমূল আরও জানিয়েছে, তার পর আর কোনও অর্থ পাঠায়নি কেন্দ্রীয় সরকার। তাই এই নিয়ে বিতর্কের আর কোনও অবকাশ নেই।
এর পাশাপাশি তৃণমূলের তরফে বলা হয়েছে, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রীকে(Narendra Modi) অনুরোধ করছি, এর পর বাংলায় সৌজন্য সফরে এলে অনুগ্রহ করে স্পষ্ট করবেন যে, ১০০ দিনের কাজের ৫৯ লক্ষ কর্মীর টাকা দেওয়া কেন বন্ধ করা হল! এবং আবাস যোজনার অধীনে ২০২১-২২, ২২-২৩ এবং ২৩-২৪ অর্থবর্ষে কত অনুদান মঞ্জুর করেছে কেন্দ্রীয় সরকার, তার শ্বেতপত্রও প্রকাশ করবেন।’ এর পর তৃণমূলের তরফে আবার অভিষেকের জনসভায় বিতর্কের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বিজেপির প্রতিনিধিদের। এক্সে জানানো হয়েছে, ‘সোমবার অভিষেক বালুরঘাটে জনসভা করবেন। মঞ্চে বিতর্কের জন্য আপনাদের আমন্ত্রণ জানালাম। খোলা চ্যালেঞ্জ। সাহস থাকলে চ্যালেঞ্জ নিন।’